সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানি ধামরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া 

স্বাধীনতাবিরোধিদের সম্পর্কে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

 

বাংলার প্রতিদিন ডটকমঃ-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী এবং স্বাধীনতাবিরোধি অপশক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জাতি কোনোদিনও তাদের ক্ষমা করবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী, যাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার হয়ে সাজা হয়েছে, সাজা কার্যকর হয়েছে তাদেরকে যারা মন্ত্রী বানিয়েছিল এবং লাখো শহীদের রক্ত রঞ্জিত জাতীয় পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল জাতি যেন কোনদিন তাদের ক্ষমা না করে, ক্ষমা করবে না। সেটাই আমার জাতির কাছে আবেদন।’

‘যারা আমার মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ-লুটপাট করেছে- সেসব যুদ্ধাপরাধীদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাদের বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। যারা এদেরকে মর্যাদা দিয়েছিল, এদের হাতে পতাকা তুলেছিল তাদের ব্যাপারে জাতিকে সচেতন থাকতে হবে’, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ  শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ কৃষিবিদ ইসস্টিটিউশন মিলনায়তনে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগের ’৭৫ পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, এক সময় দেখেছি অনেকেই নিজে মুক্তিযোদ্ধা তা বলার সাহস পেতেন না। সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা কথাটা লিখতে সাহস পেতেন না, কারণ তাহলে চাকরি পাবেন না। কি দুর্ভাগ্য আমাদের, ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হারাবার পর এই অবস্থা বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ছিল রাজাকারদের দাপট।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে তাঁর দল জয়ী হয়েছে এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের জয় অগ্নিসন্ত্রাস করেও বিএনপি-জামায়াত ঠেকাতে পারেনি। এই দীর্ঘ নয় বছর সরকারে থাকার ফলেই অন্তত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে মানুষ গর্ববোধ করে। আর ভীত সন্তস্ত্র হয় না।

তাঁর সরকারের শাসনেই দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আবার সামনে এসেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, মানুষ অন্তত তা বলার সুযোগ পাচ্ছে, লেখার সুযোগ পাচ্ছে। সেই আত্মবিশ্বাসটা ফিরে এসেছে। এই আত্মবিশ্বাসটা যেন হারিয়ে না যায়, এমন কোনো অন্ধকারে আমরা যেন আবার না পড়ি যাতে করে আবার আমাদেরকে অন্ধকারে চলে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে দ্বিধাগ্রস্ত হতে হবে সেই পরিবেশ যেন ভবিষ্যতে আর কোনোদিনও বাংলার মাটিতে ফিরে না আসে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল মতিন খসরু এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, এমিরেটাস অধ্যাপক এবং নজরুল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন বক্তৃতা করেন। সংগঠনের প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আলোচনা সভা পরিচালনা করেন।

আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সভাপতিমণ্ডলী এবং কার্যনির্বাহী সংসদের সদসরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কাহিনীগুলো মানুষের কাছে বলার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

যাদের হৃদয়ে পাকিস্তান কিন্তু থাকে বাংলাদেশে, সববরকম আরাম আয়েশ ফল ভোগ করবে এই দেশের আর অন্তরাত্মা পড়ে থাকবে পাকিস্তানে সেই পাকিস্তানওয়ালাদের থেকে বাংলাদেশের মানুষকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের খুনিদের ভোট চুরি করে সংসদে বসানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার চর্চা এবং সর্বস্তরে বাংলাভাষার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সেই ভাষার চর্চাটা আমাদের থাকতে হবে। সেটা পরিবার থেকেও উৎসাহিত করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451