ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পে পাথর
উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে
প্রতিদিন তিন শিফটে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে পাথর উৎপাদনের
নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেষ্ট
কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) কতৃক চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারী মাসে
(সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও সরকারী ছুটি ব্যাতীত) প্রতিদিন তিন শিফটে
২৩ দিনে পাথর উত্তোলন করেছে প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন। যার গড়
উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। ফলে উক্ত মাসে জিটিসি’র
বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞদের পাথর উত্তোলনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা ছিল তা
ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি পুরো দমে চলছে খনির উন্নয়ন ও নতুন স্টোপ
নির্মান কাজ।
খনি সুত্রে জানা গেছে, জিটিসি তিন শিফটে পাথর উত্তোলন শুরুর পর
থেকে প্রতিদিন তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে খনি কর্তৃপক্ষ
(এম,জি,এম,সি,এল) এর পাথর বিক্রিও বাড়ছে। মধ্যপাড়া পাথরের গুনগত মান
উন্নত হওয়ায় সরকারী এবং বেসরকারী অবকাঠামো নির্মাণ কাজে এর
চাহিদা বেশী। আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মধ্যপাড়া খনির
পাথরের দাম কয়েক দফা বৃদ্ধি করা হলেও পাথরের চাহিদা কমেনি বরং
প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম
(জিটিসি) এর মহাব্যাবস্থাপক (জি,এম) জাবেদ সিদ্দিকি জানান,
জিটিসি দ্রুততার সাথে খনির ভু-গর্ভে নতুন স্টোপ নির্মান ও খনি
উন্নয়ন করে সফলতার সাথে তিন শিফটে প্রতি মাসের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে
বেশী পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। নতুন নতুন স্টোপ নির্মানেও জিটিসি
সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। ইতিপুর্বে খনিতে ১ বছরে খনির ভু-গর্ভে
একসঙ্গে এতগুলো স্টোপ নির্মানের কোন নজির দেখা যাইনি। তিনি আরো
জানান, পাথর উত্তোলনের পরিমান যে হারে বাড়ছে, খুব শীঘ্রই জিটিসি’র
দ্বারা খনির তিন শিফটে পাথর উত্তোলন পুর্বের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে।
জিটিসি’র অধীনে বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ দল, দক্ষ খনি শ্রমিকরা এবং দেশী
প্রকৌশলীরা খনিটিতে। বিশ্বমানের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ
স্থাপন করে খনির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যে ভাবে পাথর উত্তোলন করছে। শীঘ্রই এই
খনিটি সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে বলে তিনি আশাবাদী।