অনলাইন ডেস্কঃ-
জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর হামলাকারীর মামা ও চাচাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পুলিশি প্রহরার মধ্যেই গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এ শিক্ষকের ওপর ক্যাম্পাসে হামলার পর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের টুকেরবাজার ইউনিয়নের শেখপাড়ায় হামলাকারীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ।
এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় হামলাকারী ফয়জুর রহমানের মামা ফজলুর রহমানকে আটক করা হয়। তিনি নিজেকে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে পরিচয় দিতেন।
এরপর আজ রোববার ভোররাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিকার কাপন থেকে হামলাকারী ফয়জুর রহমানের চাচা আবদুল কাহার লুলইকে (৫৫) আটক করে র্যাবের বিশেষ একটি দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম দেলোয়ার হোসেন।
টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ জানান, হামলাকারী তাঁর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের অস্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। তার পরিবার এখন লাপাত্তা। এলাকাবাসী তার পরিবারকে খুঁজছে। পেলেই পুলিশে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ফয়জুরের বাবা হাফিজ আতিকুল টুকেরবাজার মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন বলেও জানান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান, তল্লাশির সময় একটি ডায়েরি, সিডি পেয়েছে পুলিশ।
তবে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল ওয়াহাব এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন।
শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি অভিযোগপত্র জালালাবাদ থানায় দাখিল করা হয়েছে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন।
সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারীকে ধরে ফেলে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাতে তাঁকে নেওয়া হয় র্যাব হেফাজতে। হামলাকারী এখন সিলেট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।