হাসান মাহমুদ,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় টানা দুই দিন
ধরে বিয়ের দাবিতে ফারুক(২৩) নামে এক প্রেমিকের
বাড়িতে অনশন করছেন মাহমুদা আক্তার ময়না (১৭) নামে
এক কলেজ ছাত্রী।
গত রোববার ভোর থেকে বিয়ের দাবিতে ফারুকের
বাড়িতে অনশনে রয়েছেন ময়না। কলেজ ছাত্রীর অনশনের খবর
পেয়ে সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ
সেখানে যান।
উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কালীস্থান বাজার
এলাকার ওবায়েদুলের পুত্র ফারুক। এছাড়া সে লালমনিরহাট
সরকারী কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
অনশনে থানা ময়না উপজেলা ওই এলাকার ওবায়েদুলের
প্রতিবেশী মোস্তফা কামালের মেয়ে। এছাড়া সে
হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রী।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম করে আসছিলেন
ময়না ও ফারুক। এরই মধ্যে রোববার(৪মার্চ) সন্ধ্যায় সবার
চোখকে ফাকি দিয়ে নিজের ঘরে ময়নাকে ডেকে নিয়ে
যায় ফারুখ। বিয়ে করার কথা বলে ময়নার সাথে ফারুক রাত
কাটায়। পরে ভোর রাতে বাড়ির লোকজন ওই দুজনকে এক
সাথে ঘরের ভিতর দেখতে পায়। বিষয়টি বেগতিক অবস্থায়
রুপ নিতে পারে তাই বাড়ির লোকজন তাৎক্ষনিক ফারুককে
বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্রে পাঠিয়ে দেন। পরে ময়নাকে
বাড়ি থেকে সরানোর চেষ্টা করলে ময়না বুঝতে পারে তারা
ফারুককে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তাই সে বিয়ে
ছাড়া ওই বাড়ি ছাড়বে না বলে ঘোষনা দিয়ে অনশন শুরু
করেন।
সোমবার দিনভর অনেক চেষ্টা করেও ময়নাকে সরাতে
পারেনি ফারুকের বাড়ির লোকজন। পরে তাকে ক্ষতিপূরন
দিতে চাইলেও ময়না রাজি হননি। বরং আত্মহত্মার করবে
বলে জানালে তারা ময়নাকে সরানো থেকে পিছিয়ে
আসে।
এদিকে মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে পরে বিয়ে না করায় ময়নার বাবা
আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে
ঘটনার সত্যতা জানতে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ময়নার সাথে কথা হলে সে জানায়, ফারুকের সাথে
তার প্রেমের সম্পর্ক অনেক দিনের। এমনকি ফারুক
বিয়ের কথা বলে অনেক বার তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক
করে। তবে ফারুক রাজি থাকলেও তার পরিবার এতে রাজি নন।
তবে ফারুকের পরামর্শেই সে এই অনশন করতেছে বলে
দাবি করেন ময়না। এতে যদি ফারুকের পরিবার বিষয়টি
মেনে নেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হরেশ্বর
রায় জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তদন্ত
করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।