শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

খাবার স্যালাইনের আবিষ্কারক ডা. রফিকুল ইসলামের ইন্তেকাল

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ- 

খাবার স্যালাইনের অন্যতম আবিষ্কারক ডা. রফিকুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।

সোমবার সকালে রাজধানীর বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

ফেব্রুয়ারিতে ডা. রফিকুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

খ্যাতিমান চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। এছাড়া ব্রিটেনে ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও হাইজিন বিষয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।

চিকিৎসা বিদ্যায় অধ্যয়ন শেষে ডা. রফিকুল ইসলাম আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত ছিলেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।

ডা. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিশেষ করে খাবার স্যালাইন-ওআরএস আবিষ্কারের মাধ্যমে ডায়রিয়ার হাত থেকে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচান।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট খাবার স্যালাইনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আখ্যা দিয়েছে। আর এর আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রিত বাংলাদেশিদের শরণার্থী শিবিরগুলোতে একবার কলেরা ছড়িয়ে পড়ে। তখন এর একমাত্র চিকিৎসা ছিল শিরায় দেয়া স্যালাইন (ইন্ট্রাভেনাস)। কিন্তু স্যালাইন সরবরাহ কম থাকায় শরণার্থীদের প্রাণ বাঁচাতে খাবার স্যালাইন ব্যবহার করা হয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাবার স্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকার ডায়রিয়ার চিকিৎসায় খাবার স্যালাইন ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে। এ কারণে এটি ‘ঢাকা স্যালাইন’ নামেও পরিচিতি পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451