গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ গাইবান্ধায় বন্যার পানি নেমে
গেলেও নদীর পানির তীব্র স্রোতে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর ভাঙ্গন
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর
উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষ নদী ভাঙ্গনে বসতবাড়ি ও জমাজমি হারিয়ে
দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বন্যা পরবর্তী বানভাসী পরিবারগুলোর নদী ভাঙ্গন এখন
গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কামারজানি বন্দর, গো-
ঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় ওই এলাকার ১শ’টি
পরিবারের বসতবাড়ি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার পৈত্রিক ভিটা থেকে
তাদের বসতবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিতে বাধ্য
হচ্ছে। ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শনিবার সেখানে
গঙ্গা পূজার আয়োজন করে। এছাড়া ফজলুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল
আবেদীন বলেন, কুচখালি, চন্দনস্বর, পশ্চিম খাটিয়ামারি, উত্তর খাটিয়ামারি
গ্রামের প্রায় ৪শ’ ৮৫টি পরিবার গত এক সপ্তাহে নদী ভাঙ্গনে বসতবাড়ি
হারিয়েছে। এছাড়া ওইসব এলাকায় এখনও তীব্র নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ এবং সদর উপজেলার
কামারজানি, গিদারি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত
রয়েছে। সাঘাটার বরমতাইড়, গোবিন্দী, হলদিয়ার গোবিন্দপুর, কানাইপাড়া,
ভরতখালি, ফুলছড়ির দেলুয়াবাড়ি, উড়িয়ার কালাসোনা, রতনপুর, দক্ষিণ
কাবিলপুর, কঞ্চিপাড়ার পূর্ব কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ির জিগাবাড়ি।