টি.সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ-
উদ্দেশ্য ছিল হিমালয় কন্যার রূপ দর্শণ করা। গত সোমবার (১২মার্চ)
মামাতো-ফুফাত দুই ভাই ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও মেহেদী হাসান
দম্পতির পাঁচ সদস্য ভোর সাড়ে ছয়টায় শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার
এলাকায় বাড়ী থেকে বের হন। বিমানে উঠার ঠিক আগ মুহুর্তে একটি
হাস্যোজ্জ্বল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। ভাগ্যের
নির্মম পরিহাসে নেপাল যাওয়া পাঁচ সদস্যের মধ্যে আজ শুক্রবার ফারুক
হোসেন প্রিয়ক ও শিশু কন্যা প্রিয়ংময়ীকে রেখেই ফিরলেন বাকী
তিনজন। দুঃখের বিষয় তিন সদস্যের একজন আলমুন নাহার অ্যানি। যিনি
স্বামী ও একমাত্র শিশুসন্তান হারিয়েছেন এ বিমান দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে।
তবে, বুকে পাথর চাপা নিয়েও এখনো জানতে পারেননি তিনি কি
হারিয়েছেন।
শুক্রবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
ফ্লাইটে তাঁরা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সাড়ে তিনটায় দেশে ফিরে আসেন।
তবে এখনই তাদের বাড়ীতে আনা হচ্ছে না। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে
ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর
হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসান দম্পতির পাঁচ সদস্য। বিমান
থাকা দুই সম্পতির পাঁচ সদস্য হলেন, শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামের মৃত
শরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ (৩২), তাঁর স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি
(২৫), তাদের এক মাত্র সন্তান প্রেয়সী (৩) ও নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল
হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৩) ও তাঁর স্ত্রী সাঈদা
কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)। ফারুক পেশায় একজন
ফটোগ্রাফার, মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ফারুক ও
মেহেদী হাসান সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই। এদের মধ্যে নগরহাওলা
গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, তাঁর স্ত্রী সাঈদা
কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও ফারুক আহমেদের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি
আহতবস্থায় নেপাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর
দুই সদস্য ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তার এক মাত্র সন্তান প্রিয়ংমনী
তামাররা বিমান বিধ্বস্তে মারা যান।