বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ- উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগে আস্থার জায়গায় এখন বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা মনে করেন, গত কয়েক দশকে বেড়েছে মাথাপিছু আয়, কমেছে দারিদ্র্যের হার, শক্তিশালী হয়েছে অর্থনৈতিক অবস্থানও।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তলাবিহীন দেশের তকমা নিয়ে পথ চলা শুরু দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের।এরপর আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলতে পেরুতে হয় বিভিন্ন বাধা বিপত্তি। মাত্র ১শ ২৯ ডলার মাথাপিছু আয় দিয়ে পথচলা শুরু। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬শ ১০ ডলারে। কমেছে দারিদ্র সীমার হার।
অর্থনৈতিকভাবেও শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। জনগণের জীবনযাত্রার মানও হয়েছে উন্নত। যার আন্তর্জাতিক প্রাথমিক স্বীকৃতি এখন উন্নয়ন শীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। তাই সাধারণ মানুষের স্বপ্ন উন্নত দেশের পথে আগামীতে হাঁটবে বাংলাদেশ
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আন্তর্জাতিক এই অর্জন বহির্বিশ্বে শুধুমাত্র দেশের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দরকষাকষিতে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জনের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশর এই অগ্রগতি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতেও সাহায্য করবে বলে মনে করেন বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশে নিযুক্ত অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি পেলেও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।