টি.আই সানি, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
বকেয়া টাকা চাওয়ায় লাভলী আক্তার নামের এক নারীকে (২৩) পিটিয়ে
হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের একটি
প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যায়।
নিহতের মা খোরশেদা খাতুন বাদী হয়ে শনিবার শ্রীপুর থানায় হত্যা
মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ
তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো টেপিরবাড়ি গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে
হাবিবুল্লাহ, একই গ্রামের সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী পারুল আক্তার ও লাকচতল
গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে কাওসার। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে
জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
নিহত লাভলী গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ডুবাইল এলাকার মোফাজ্জল
হোসেনের স্ত্রী। তাঁর স¦ামী প্রবাসে থাকায় সে শ্রীপুর উপজেলার
মুলাইদ এলাকার তাঁর বাবা শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছিল।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, ৩ মার্চ (শনিবার) অভিযুক্তরা
লাভলী আক্তারের বাবার বাড়ীতে গিয়ে তাকে মারধর করে। পরে স্বজনেরা তাকে
আহত অবস্থায় মাওনা চৌরাস্তার আল-হেরা হাসপাতালে চিকিসাধীন
রাখে। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে
তাকে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার (১৬মার্চ) বিকেলে
সে মারা যায়।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,
জৈনা বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে
জানালার গ্রিল তৈরী করেন নিহত লাভলীর মা খোরশেদা। সমুদয় টাকা
পরিশোধ করার পর দুই হাজার টাকা বকেয়া থাকে। বকেয়া টাকা চাওয়ায়
লাভলীর মা’র সাথে শনিবার (৩মার্চ) সকালে হাবিবুল্লাহর বাগ বিতন্ডা
হয়। ওইদিন বিকেলে হাবিবুল্লাহ, কাওসার ও পারুল খোরেশেদার বাড়িতে
গিয়ে তাকে না পেয়ে মেয়ে লাবলীকে মারপিট করেন। পরে তার চিৎকারে
স্বজনেরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা চলে যায়। এসময় লাভলী গুরুতর আহত
হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মাওনা চৌরাস্তার
আল-হেরা হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসাধীন রাখে। অবস্থার অবনতি হলে
তাকে ময়মনসিংহের প্রায়ভেট হাসপাতালে ১০দিন চিকিৎসাধীন
থাকার পর মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়ী থেকে লাশ উদ্ধার করে
ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে পাঠায়।