নিজস্ব প্রতিবেদক হেলাল শেখঃ
ঢাকা বন বিভাগের আশুলিয়ার কবিরপুর মৌজার ৫৫২ দাগসহ শত শত বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা,ওই স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার। ওইসব পরিবারের লোকজনের দাবী বন বিভাগের কিছু দালালের মাধ্যে অফিসারদের ম্যানেজ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি ঘর করে থাকছেন তারা।
সরেজমিনে গত সোমবার স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, বন বিভাগের জমি দখলকারীদের মধ্যে স্থানীয় মোঃ নান্নু মিয়াসহ কয়েকজন ভূমিদস্যু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বন বিভাগের জমি বিক্রি করছে শত শত পরিবারের কাছে।
স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই জমির উপর যারা বসবাস করছেন সবাই বন বিভাগের অফিসারের টাকা দিয়েই বাড়ি ঘর করেছে।
বন বিভাগের জমিতে বসবাসকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রায় এক যুগ ধরে বন বিভাগের জমিতে ঘর বাড়ি করে বসবাস করছি, কোনো সমস্যা নাই। নতুন কেউ ঘর তুললে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিতে হয় অফিসারকে।
জানা গেছে, বন বিভাগের জমিতে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীরা অবৈধ ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছে, এতে সরকারের মোটা অংকের টাকা লোকসান হচ্ছে। সচেতন মহলের প্রশ্নঃ বন বিভাগের জমি দখল করে সেখানে তিতাস গ্যাস ও পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ পায় কি করে? এসবক্ষেত্র কোনো না কোনো প্রভাবশালীরা জড়িত আছে কি না, জানতে চাইলে তারা অনেকেই বলেন, ওরা আমাদের খুন, গুম করবে, যদি তাদের নাম বলি, রাতে এসে মারবে! প্রশ্নঃ কোন খোঁটির জোড়ে বন বিভাগের জমি দখল করে সেখানে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে ভূমিদস্যুরা ? সেই সাথে গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর সংযোগ পায় কি করে?
এ ব্যাপারে বন বিভাগের জমিতে বসবাসকারী অন্য এক নারী মোছাঃ ইয়ারজান বেগম বলেন, একটি ঘর তৈরি করতে গেলে আব্দুল হাই, রহমান ও হাকি নামে কয়েকজন তাদের বাঁধা সৃষ্টি করে এবং বন বিভাগের অফিসারকে টাকা না দিলে তারা ওই ঘর ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি দেয়। পরে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ায় তারা ওই পরিবারকে ঘর তুলতে দেয়। ইয়ারজান বেগম আরও বলেন, এরকম শত শত পরিবারের কাছ থেকে তারা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বন বিভাগের জমিতে বাড়ি ঘর করার জন্য অনুমতি দেয়। ওই স্থানে বসবাসকারীরা অনেকেই বলেন, বন বিভাগের অফিসার এর ম্যানেজ করেই প্রতিটি ঘর প্রতি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তারা বসবাস করছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা বন বিভাগের বিট অফিসার মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে অফিসে তালাবন্ধ পাওয়া যায়, এরপর তার মোবাইল ফোনেও পাওয়া যায়নি।