আরিফ,ময়মনসিংহ ভালুকা,প্রতিনিধি,: ভালুকায় প্রচুর পরিমাণে কাঠাল গাছ জন্মে এবং কাঠালের অধিক ফল হয় যা বিভিন্ন দিক থেকে অাগত ব্যবসায়ীরা দেশের একপ্রান্ত অন্যপ্রান্তে রপ্তানি হয়। এমনকি বিদেশেও এই ফলের চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করা হয়। এখন গাছে গাছে নতুন ফলের সমাহার গাছের অলংকৃত। ভালুকায় কাঠালের বাম্পার ফলনে।যা ভালুকার রপ্তানিকারক ঐতিয়্যতে পরিনত হয়েছে। কাঠাল এক প্রকারের হলদে রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসবে সরকারী ভাবে নাম করণ। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus, যা কাচা কাঁঠালকে বলা হয় এঁচোড়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য অত্যন্ত সমাদৃত। ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষতঃ বাংলাদেশ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে কাঁঠালের উৎপত্তি স্থান হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণ ভারত, বিহার, মিয়ানমার, মালয়, শ্রীলংকা প্রভৃতি এলাকা ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এরূপ ব্যাপক সংখ্যায় কাঁঠালের চাষ করতে দেখা যায় না। তবে ব্রাজিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকা প্রভৃতি দেশে সীমিত আকারে কাঁঠাল জন্মে। সাধারণতঃ লালচে মাটি ও উঁচু এলাকায় এটি বেশী দেখা যায়। তন্মধ্যে গাজীপুর ভাওয়ালের গড়, টাংঙ্গাইল মধুপুর গড় এবং ভালুকা প্রধান। ভালুকার গ্রামের একটি বাড়ীও নেই যে কাঠাল গাছ নেই তা থেকে কাঠাল বিক্রি করে অর্থ আয় করে সাংসারিক কাজে লাগায়য় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত গ্রামের পরিবার গুলো। জাতঃ কাঁঠালের বেশ কিছু জাত রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে চাষকৃত জাতসমূহ মোটামুটি দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। গালা ও খাজা এ দুটি জাত ছাড়াও কাঁঠালের আরোজাত আছে। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত কাঁচা কাঁঠাল ইচোড়’ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। পাকা ফল বেশ পুষ্টিকর, কিন্তু এর গন্ধ অনেকের কাছে ততটা আকর্ষণীয়়। তবু মৃদু অম্লযুক্ত সুমিষ্ট স্বাদ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করেন। কাঁঠালের আঁটি তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া হয় অথবা পুড়িয়ে বাদামের মত খাওয়া যায়। এর একটি সুবিধে হল, আঁটি অনেকদিন ঘরে রেখে
দেয়া যায়। পাকা ফলের কোষ সাধারণত
খাওয়া হয়, এই কোষ নিঙড়ে রস বের করে তা শুকিয়ে আমসত্বের মত ‘কাঁঠালসত্ব’ও তৈরি করা যায়। এমনটি থাইল্যান্ডে এখন কাঁঠালের চিপস্ তৈরি করা হচ্ছে। কোষ খাওয়া পর যে খোসা ও ভুতরো পাই থাকে তা গবাদি পশুর একটি উত্তম খাদ্য। ভুতরো বা ছোবড়ায় যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন থাকায় তা থেকে জেলি তৈরি করা যায়। এমন কি শাঁস বা পাল্প থেকে কাচা মধু আহরণ করার কথাও জানা গেছে। কাঁঠাল গাছের পাতা গবাদি পশুর একটি মজাদার খাদ্য বহুল পরিচিত। গাছ থেকে তৈরি হয় মুল্যবান আসবাবপত্র। কাঁঠাল ফল ও গাছের আঁঠালো কষ কাঠ বা বিভিন্ন পাত্রের ছিদ্র বন্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।