চট্টগ্রাম বন্দরে স্থাপিত স্ক্যানার মেশিনের ৬০ জন অপারেটর এবং কর্মকর্তা, কর্মচারি তাদের চাকরি নিয়মিত করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা একযোগে পদত্যাগ ও আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন। এ সময় আমদানি পণ্য ও কন্টেইনার স্ক্যানিং ও রেডিয়েশন পরীক্ষায় দক্ষতা অর্জনকারী কর্মীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটানোর অনিশ্চয়তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিস্টেম অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, নয় বছর ধরে আমরা কর্মরত আছি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী অপারেটর নিয়োগ করতে যাচ্ছে যাতে অভিজ্ঞ জনবল নিয়োগের বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, কাস্টমস হাউসে চট্টগ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল যাচাই-বাছাই ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে নিয়োগ দিচ্ছে যা বাস্তবায়ন হলে একটি মহল বা কতিপয় অসাধু ব্যক্তির স্বার্থ হাসিল হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, এ বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে যা বিচারাধীন রয়েছে। এরপরও ওই মহল কোনো বাধা বিপত্তি না মেনে সরকারের টেন্ডার প্রক্রিয়ার দিক নির্দেশনা আছে তার তোয়াক্কা না করে নিজ প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেবার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করার পর আমাদের বাদ দিয়ে নতুন অনভিজ্ঞ লোকবল দিয়ে স্ক্যানিং মেশিনের মতো স্পর্শকাতর মেশিনগুলো পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী মিল্টন, বদরুল আহমদ সিদ্দিকী, সালাউদ্দিন আহমদ, জাহেদুল আলম, কাদের সোবহান, মিজানুর রহমান, সোহেল রানা, আনোয়ার হোসেন, সুবীর মিত্র, অলীক দেওয়ান প্রমুখ।