টি.আই সানি, গাজীপুর ঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত সরাফত আলী
এক মাত্র সন্তান ফারুক আহম্মেদ প্রিয়ক (৩২) ও তার এক মাত্র কন্যা
তামাররা প্রিয়ন্ময়ী (৩) নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় হয়ে ইন্তেকাল
করেন (ইন্না লিল্লাহি…………….রাজিউন) ।
পরে ২০ মার্চ জৈনাবাজার আব্দুল আউয়াল কলেজ মাঠে নামাজে
জানাজা শেষে মরহুমের লাশ তার বাড়ির সামনে দাফন করা হয়। ২৬শে
মার্চ নগরহাওলা গ্রামের ফারুক আহম্মেদ প্রিয়রে নিজ বাড়িতে
মরহুমরে কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। অত্মীয়,স্বজন সহ বিপুল সংখ্যক
মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যু কালে তিনি মা,স্ত্রী- ও অত্মীয়
স্বজন রেখে গছেন।
উল্লেখ্য, নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে
ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গাজীপুরের শ্রীপুরের
নগর হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসান মাসুম দম্পতির পাঁচ
সদস্য। বিমান থাকা দুই সম্পতির পাঁচ সদস্য হলেন, শ্রীপুরের
নগরহাওলা গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ
প্রিয়ক (৩২), তাঁর স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি (২৫), তাদের এক মাত্র
সন্তান তামাররা প্রিয়ন্ময়ী (৩) ও নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল
হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুম (৩০) ও তাঁর স্ত্রী সাঈদা
কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)। ফারুক পেশায় একজন
ফটোগ্রাফার ছিলেন। এদের মধ্যে নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল
হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুম , তাঁর স্ত্রী সৈয়দা
কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও ফারুক আহমেদ প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন
নাহার অ্যানি আহতবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন। অপর দুই সদস্য ফারুক আহমেদ প্রিয়ক ও তার এক
মাত্র সন্তান তামাররা প্রিয়ন্ময়ী বিমান বিধ্বস্তে মারা যান।