বাংলার প্রতিদিন.কম :- রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মূলে নজর দেওয়ার জন্য আবারো আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক তার এই কথা জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে এবং সম্মানের সাথে স্বেচ্ছায় নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।
এর আগে জাতিসংঘ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেখে জাতিসংঘ মহাসচিব মর্মাহত হয়েছেন। তিনি ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়নে মিয়ানমারের সব নেতাদের সমন্বিত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
ফারহান হক বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের (কফি আনান কমিশন রিপোর্ট) সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে এ ধরনের নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার মুখে গত বছরের আগস্ট থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এ সেনা অভিযানকে জাতিগত নিধনের সাথে তুলনা করেছে।
মিয়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এসব কথা বলেন বলে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মে বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসা বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরের মধ্যে রাখতে কাজ করে যাবে তার দেশ। প্রধানমন্ত্রী মে বলেন, মিয়ানমার সরকারকে তাদের প্রতিটি নাগরিকের কথা শুনতে হবে। তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।