মোঃ আশিকুর রহমান টুটুল, নাটোর প্রতিনিধিঃ
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাটোরের লালপুরে ময়না যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ (৩০
মার্চ) শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ময়না যুদ্ধে নিহত শহীদের স্মরণে উপজেলার
ওয়ালিয়া ইউপির ময়না গ্রামে নির্মিত স্মৃতি সৌধে এলাকাবাসিকে নিয়ে যুদ্ধে সকল শহীদদের গভীর
শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য
এ্যাড.আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু। পুষ্পস্তবক
অর্পন শেষে স্মৃতি সৌধে জাতীয় পতাকা, কালো পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও সকল শহীদের আত্মার
শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুর
সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের
সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী, ওয়ালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আনিসুর
রহমান। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, লালপুর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,
নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য উপাধক্ষ বাবুল আক্তার, লালপুর থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক
সম্পাদক মুস্তাফিজুল আলম, সদস্য ফিরোজ আলহক ভুঁইয়া, ওয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ
সম্পাদক (ভারপ্রপ্ত) আক্তারুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী
সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও এলাকার সুধি জন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে
উপজেলার ময়না গ্রামে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সাথে লালপুর উপজেলার মুক্তিকামী জনতা, ইপিয়ার ও
আনসার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে হানাদারদের ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস হয় এবং পাকবাহীনির
প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খান ওরফে রাজা খান জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরের দিন ৩১ মার্চ
লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ময়না যুদ্ধে প্রায় অর্ধশত
বাঙ্গালী শহীদ ও ৩২ জন আহত হন। সেই থেকে দিবসটিকে ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস হিসাবে
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালন করে আসছে।