টি.আই সানি,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের
প্রশিকা মোড় এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ
উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড
গ্রামের বেগুনবাড়ী এলাকায় আব্দুর রাজ্জাক মিয়া (রেজু মিয়া)’র
ভাড়া বাড়ীতে ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে
পালিয়ে যায় স্বামী সিয়াম। দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না
তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে কি কারণে হত্যার মতো
এ ঘটলো তার কোন সুনির্দ্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পারভীনের
স্বজনেরা।
নিহত মনোয়ারা শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের
মনির হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত সিয়াম হোসেন (২৮) বিস্তারিত
পরিচয় জানাতে পারেনি পারভীন স্বজনেরা।
নিহতের স্বজনেরা জানান, প্রায় দুই বছর পূর্বে তাদের পরিবার
ঢাকায় বসবাস করার সময় মোবাইল ফোনে সিয়ামের সাথে
মনোয়ারা পারভীনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক
গড়ে উঠে। একপর্যায়ে পরিবারটি ঢাকা থেকে গাজীপুরের
শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামে এসে আব্দুর রাজ্জাক মিয়া
(রেজু মিয়া)’র দুটি রুম ভাড়া নেয়। এরপরও তারা যোগাযোগ
অব্যাহত রাখে। পরে গত ৭ মাস আগে সিয়াম পারভীনকে নিয়ে
গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে
পেরে তাদের মেনে নেয়।
বিয়ের পর থেকেই পারভীন তাঁর স্বামীকে নিয়ে মা-বাবার সাথে
একই বাড়ীতে ভাড়া থেকে স্থানীয় দুটি কারখানায় দুজন চাকরি
করতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে কারখানা থেকে এসে স্বামী-স্ত্রী
রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। পরে সকালে উঠে স্বজনরা কোন
সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে পারভীনের গলাকাটা দেহ দেখতে পায়।
ঘটনার পর থেকেই স্বামী সিয়াম পলাতক রয়েছে।
নিহতের বড় ভাই রমজান আলী জানান, দুজনের ভালবাসার কথা
জেনেই আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে মেনে নিয়ে তাদের বাড়ীতে
নিয়ে এসেছিলাম। এরপরই কয়েকবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল।
আমরা তা পারিবারিক ভাবে মিটিয়ে দিয়েছিলাম।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান জানান,
খবর পেয়ে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়ানতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ
তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সিয়াম পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে একটি
হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।