কৃমি বেশ জটিল একটি সমস্যা। বড় থেকে ছোট সবাই এই সমস্যায় ভোগে। তবে শিশুদের বেশি ভুগতে দেখা যায়। তবে একটু সচেতন হলে কৃমি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
১. খাওয়ার আগে ও টয়লেট থেকে আসার পর সাবান (লিকুইড সোপ হলে ভালো) দিয়ে হাত ধুতে হবে।
২. শিশুদের হাত ও পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে।
৩. ছোট শিশুদের মলমূত্র অন্যত্র ফেলে না রেখে তা উঠিয়ে কমোডে ফেলতে হবে।
৪. শিশুদের মলমূত্রেও জীবাণু থাকে। তাই এদের মলমূত্র পরিষ্কারের পরও সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৫. রান্নার আগে শাকসবজি ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ভালোভাবে ধুতে হবে। এ সময় অবশ্যই হাত ধুতে হবে।
৬. রান্নার পাতিল, থালা-বাসন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
৭. খাবারে যাতে মাছি বসতে না পারে, সে জন্য সব সময় ঢেকে রাখতে হবে।
৮. মাংস, বিশেষ করে গরুর মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ করতে হবে।
৯. টয়লেটে যাওয়ার সময় অবশ্যই শিশুদের স্যান্ডেল পরানোর অভ্যাস করতে হবে।
১০. গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।
১১. দুই বছর বয়সের পর প্রত্যেক শিশুকে ছয় মাস অন্তর নিয়মিত কৃমির ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
শিশুরা এমনিতেই পর্যাপ্ত খাবার খায় না। তাই গৃহীত খাদ্যের একটা অংশ কৃমির কারণে অপচয় হলে তা শিশুদের তীব্র স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। সুতরাং শিশুরা যেন কৃমির কারণে অপুষ্টিতে না ভোগে, সে লক্ষ্যে মা-বাবাকে হতে হবে আরো সচেতন।
লেখক : শিশু বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল, কনসালট্যান্ট, ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল মগবাজার।