শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

পবিত্র লাইলাতুল মেরাজের ইতিহাস ও তাৎপর্য

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৪০২ বার পড়া হয়েছে

 ডেস্কঃ- 

আজ পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় আজকের রাত্রি যাপন করবেন ধর্মপ্রান মুসলমান।

আল্লাহ তায়ালা তার হাবিবের মিরাজকে শুরু করিয়েছিলেন মসজিদ থেকে। আবার শেষ হয়েছে মসজিদে। এর মাধ্যমে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মসজিদই হচ্ছে মুসলমানদের জাগতিক ও পরলৌকিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে সব জাতি আর বর্ণ একাকার হয়ে যায়। জানান দেয় বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের।

বায়তুল মাকদাসে সমস্ত পয়গম্বরকে পিছনে নিয়ে রাসূল স.এর ইমামতির অনেকগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে-

ক. রাসূল স. এর নবুয়তের সার্বজনীনতা প্রকাশ: তথা সকল নবী-রাসূল যখন তাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত হলেন; তখন বুঝা গেল, এতদিন নবী-রাসূলগণ যে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের সকলের দাওয়াতি কার্যক্রমের দায়িত্ব এখন তাঁর উপর ন্যাস্ত হয়েছে।

খ. সকল পয়গম্বরদের সমর্থন আদায়: কাফির মুশরিকরা আপনার বিরোধিতা করলেও; সকল নবী-রাসূল এবং আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দারা আপনার আনুগত্যকে সৌভাগ্য মনে করে।

গ. সকল নবী রাসূলের উপর তাকে শ্রেষ্টত্ব দান: তথা সমস্ত পয়গাম্বর তাঁর ইমামতিতে সালাত আদায় করে তাকে ইমামুল মুরসালিন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
ঘ. অদৃশ্য জগতের বাস্তবতাকে বুঝিয়ে দেওয়া: মানুষ এবং জীনজাতির জন্য দুটি জীবনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে- একটি দুনিয়া ও অপরটি আখিরাত বা পরকাল। পরকালকে আমরা অদৃশ্য জগত বলি। যেহেতু এ জগত দেখা যায়না বা উপলব্দি করা যায় না; তাই এর বাস্তবতা নিয়েও অনেকে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। যাদেরকে আমরা জড়বাদী বা বস্তুবাদী বলে থাকি। তাই আল্লাহ সকল মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর হাবিবকে নিয়ে এর বাস্তবতাকে দেখিয়ে দিলেন। জান্নাতের সুখ-শান্তি যে কত অফুরন্ত। আর জাহান্নামের আযাব গযব যে কত ভয়াবহ তা তিনি চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করলেন।

নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মিরাজে তার হাবিবকে যতগুলো হাদিয়া দিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। ইচ্ছা করলে শরিয়তের অন্যান্য বিধানের মত ফিরিশতার মাধ্যমে ওহী পাঠিয়েও নামাজ ফরয করতে পারতেন। কিন্তু আরশে আযীমে ডেকে নেওয়া, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা, আবার তার থেকে কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্তের হুকুম দেয়া, আবার তাতে পঞ্চাশ ওয়াক্তেরই সওয়াব দানের প্রতিশ্রুতি দেয়া এ সবগুলোই সালাতের গুরুত্ব প্রকাশের জন্য। আর এ জন্যই রাসূল স. ঘোষণা দিয়েছেন-

الصلاة معراج المومنين

অর্থ্যাৎ সালাত মুমিনদের জন্য মিরাজ স্বরূপ।

সত্যের বিজয় অবসম্ভাবী, এ কথা বুঝিয়ে দেয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবিবকে নিজের কাছে ডেকে নিয়েছেন। কেননা, রাসূল স. তার দুই প্রিয় পাত্রকে হারিয়ে, মক্কা থেকে কুরাইশদের কর্তৃক বিতারিত হয়ে যখন একদম অসহায়; তখনই আল্লাহ তায়ালা তাকে সান্তনা দেয়ার জন্য কোন ফিরিশতার মাধ্যম নেননি; বরং নিজে তাকে সান্তনা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন, যাতে তার হাবিবের হৃদয়ে কোন ব্যথা না থাকে।

মহান কুদরতের অপূর্ব নিদর্শন, বিস্ময়কর সৃষ্টির তত্বজ্ঞান লাভ, খোদায়ী শক্তির বিস্তৃতির মহাবিস্ময় স্বচক্ষে দেখানোও ছিল তার মিরাজের বিশেষ উদ্দেশ্য। যাতে তার কাছে এ বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এ দুনিয়ার সবকিছুকেই তার প্রবল ক্ষমতা বেষ্টন করে আছে। কোন সৃষ্টির পক্ষেই তার নির্বাহী ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

لِنُرِيَهُمِنْآ يَاتِنَ

যাতে আমি তাকে আমার কুদরতের নিদর্শনগুলো দেখিয়ে দেই (সূরা ইসরা, আয়াত নং-১)।

নতুন যুগের সূচনা, আর ইমানের অগ্নি পরিক্ষার জন্য সামনে যে প্রজন্মের প্রয়োজন হবে তাদেরকে তৈরি করার জন্য একজন ঐশী শক্তির সাহায্যপ্রাপ্ত যোগ্য নেতার প্রয়োজন। সে প্রয়োজনকে সামনে রেখেই আল্লাহ তায়ালা তাঁর মহান হাবিবকে একান্ত সান্নিধ্য দিয়ে অনাগত ভবিষ্যতের সে প্রজন্মের স্বপ্নপুরুষ হিসেবে তৈরি করেছিলেন।

সত্য প্রকাশে অবিচলতা আর ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়তার প্রমাণ পাওয়া যায় রাসূল স. এর মিরাজের ঘটনায়। কেননা, মিরাজ থেকে প্রত্যাবর্তন করে উম্মে হানীকে যখন এ ঘটনার বিবরন শুনালেন, তিনি বললেন, আপনি কুরাইশদের সামনে আপনার এ ঘটনা প্রকাশ করবেন না। তারা আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। উত্তরে তিনি বলেছিলেন-

আল্লাহর কসম আমি অবশ্যই তাদেরকে এ ঘটনা বলব। (আল বিদায়া ওয়াননিহায়া)

মিরাজের অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব মানুষের জন্য সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। এর চেয়ে বড় সম্মান আর মানুষের জন্য হতে পারে না। রাসুল সা. আল্লাহর গোলাম আর আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন তার রব। এ জন্যই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে মিরাজের আয়াতে ‘আবদ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

سُبْحَانَا لَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِه (আল বিদায়া ওয়াননিহায়া।)

মিরাজের রাত্রিতে রাসূল স. কে মদ এবং দুধ পরিবেশন করা হলে, তিনি দুধকে গ্রহণ করেন এবং মদকে প্রত্যাখ্যান করেন। তখন জিব্রাইল আ. তাঁকে বলেন-

আপনি ফিতরাতের পথ অবলম্বন করেছেন।(মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-৪৪২)

এতে প্রমাণিত হয়, ইসলাম হলো মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম।

সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার যিকিরের বিনিময়ে মু‘মিনদের জন্য জান্নাতে বৃক্ষ রোপন করা হবে। রাসূল স. বলেন-
لقيت إبراهيم ليلة أسري بي فقال يا محمد أقرئ أمتك مني السلام وأخبرهم أن الجنة طيبة التربة عذبة الماء وأنها قيعان وأن عراسها سبحان الله والحمد لله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر

(সুনানুত তিরমিযি, হাদিস নং-৩৪৬২)

মিরাজের রজনীতে ইব্রাহীম (আ.) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি আমাকে বললেন,“হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মতকে আমার সালাম দিবেন। আর তাদেরকে বলবেন, জান্নাত উর্বর ভূমি ও সুমিষ্ট পানিময়। কিন্তু তা উদ্ভিদ শূন্য। এর বৃক্ষরাজি হচ্ছে, এই যিকর: سبحان الله والحمد لله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر

রাসূলে স. মিরাজে কিছু সামাজিক অপরাধের শাস্তি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। যা থেকে পরবর্তীতে তাঁর উম্মতকে সতর্ককরণে বিশেষ সহায়ক হয়েছে। কেননা, কোন একটা বিষয় শুনে বলায় যে অনুভুতি থাকে, দেখে বলায় তার চেয়ে অনেক বেশী কার্যকর অনুভুতি থাকে।মিরাজের রাসুল সা. যে শাস্তিগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-

ক. ব্যাভিচার ব্যাভিচারিণীদের শাস্তি।

খ. মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার শাস্তি।

গ. চোগলখোরদের শাস্তি।

ঘ. সুদখোর ও ঘুষখোরদের শাস্তি।

ঙ. যাকাত অস্বীকারকারীর শাস্তি।

চ. গীবতের শাস্তি।

ছ. মিথ্যাবাদী,ভূয়া তথ্যদাতা বা তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তি।

জ. আমানতের খিয়ানতকারীর শাস্তি।

ঝ. অবৈধ উপায়ে ইয়াতিম- অসহায়দের সম্পদ আত্মসাৎ কারীর শাস্তি।

ঞ. অন্যকে দোষারোপ করা এবং তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করার শাস্তি। ইত্যাদি

রাসূল স. এর মিরাজের ঘটনা বহুল ও বিস্ময়কর সফর, বহুমুখী শিক্ষা আর তাৎপর্যে বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত। নতুনভাবে দীনের দাওয়াত দেয়ার ও দাওয়াতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার বিষয় যেমন এতে ছিল; তেমনি উম্মতকে সুচারুরূপে পরিচালনার দিকনির্দেশনাও ছিল। আর সাথে ছিল কল্পনালোকের মত এক জগতে বিচরণের বিচিত্র অনুভুতি। আর এ কারণেই মিরাজের বিষয়টি তাবৎ দুনিয়ার মানুষের কাছে এখনও এক মহা বিস্ময় ও সীমাহীন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

আল্লাহ তায়ালাও তার হাবিবের মানসিক অবস্থাকে বিবেচনা করে, এমন শান্তনার ব্যবস্থা করলেন; যাতে তার সমস্ত দু:খ-কষ্ট, বেদনা-যন্ত্রনা উঁবে গেল। ভূ-মন্ডল, নভোমন্ডল ভেদ করে, সপ্ত আসমান পাড়ি দিয়ে, সত্তর হাজার নূরের পর্দা অতিক্রম করে, একদম আরশে আযীমে ডেকে নিয়ে, হাবিবের সাথে একান্ত আলাপ করলেন। বুঝিয়ে দিলেন, দুনিয়ার মানুষ আপনাকে না চিনতে পারে; কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। দুনিয়ার অবুঝরা আপনাকে মূল্যায়ন না করতে পারে; কিন্তু আপনার মর্যাদা আমার কাছে সবার থেকে অনেক বেশী। আর এটাই হলো রাসূল স.এর মিরাজের প্রধান উদ্দেশ্য। এ ছাড়াও রাসূল স. এর মিরাজে রয়েছে উম্মতের জন্য অপূর্ব শিক্ষার সমন্বয়।

আমল

মাগরীবের নামাজের পর হতে উক্ত আমল গুলো পালন করতে হবে।
★০২ রাকাতের নিয়্যত করে ২০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ০৩বার করে সূরা ইখলাছ্।

★০১ নিয়্যতে ০৪ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। সূরা ফাতিহার সাথে যেকোন সূরা মিলিয়ে ধারাবাহিক ০৪ রাকাত নামাজ আদায় করবে..।
এই নামাজ আদায়ে আল্লাহ্ পাক বান্দার হায়াতকে বৃদ্ধি করেদেন(সুবহানআল্লাহ)..

★০২ রাকাতের নিয়্যতের মাধ্যমে সর্বমোট ১০০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে হবে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে ০৫ বার করে সূরা ইখলাছ্। সম্পূর্ণ নামাজ শেষ করে ১০০ বার দুরুদ শরীফ আদায় করবে।অতঃপর সিজদায় গিয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় আল্লাহ্ পাকের দরবারে প্রার্থনা করবে।

★০১ নিয়্যতে, ০১ সালামে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করবে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোন সূরা মিলিয়ে পড়া যাবে।বড় সূরা হলে কমপক্ষে ০৩ আয়াত পড়বে।অতঃপর নামাজ শেষে ;

★সুবহানআল্লাহ ১০০ বার।
★ইস্তেগফার ১০০ বার।
★দরুদ শরীফ ১০০ বার।

সর্বশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ করবে।

উল্লেখ্য যে, মে’রাজ রজনীতে বান্দা আল্লাহ্ পাকের নৈকট্য অর্জনে সারা রাত জেগে থেকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন প্রকার/ধরনের ইবাদাত করে থাকেন।
যেমনঃ কোরআনে পাক তিলাওয়াত। তাহাজ্জুদের নামাজ। সালাতুত তাসবীহ্ এর নামাজ। কোরআন ও সুন্নার আলোকে মে’রাজের রাতের অালোচনা শ্রবণ করা। মাহফিল-এ-নাতে মোস্তফা শ্রবণ করা ইত্যাদি নফল ইবাদতের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রাত অতিবাহিত করা আফজল(উত্তম)।

পরের দিন সকাল (২৭ রজব) রোজা অবস্থায় দিন পার করবে। উক্ত দিনে যোহরের নামাজের পরে ০৪ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে।প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে ০৩ বার সূরা ক্বদর, ৫০ বার সূরা ইখলাছ্, ০১ বার সূরা ফালাক্ব, ০১ বার সূরা নাছ্ এর মাধ্যমে উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। অতঃপর অত্র নামাজ সমাপ্তের পরে কিবলা মূখী হয়ে আসরের সময় পর্যন্ত জায়নামাজে বসতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451