কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া ৫টি মামলা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এর মধ্যে এই দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের বাসায় হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে চারটি মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। এটি সহ্য করতে না পেরে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে। আন্দোলনকারীদের বিএনপি-জামায়াত বানানোর অপপ্রচারে নেমেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশকে অস্থিতিশীল করতেই তারা এ চক্রান্ত করছে।
নূর হোসেন আবারও দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী হামলা করেনি। বরাবরের মতই আমরা এ হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের বলছি- আমি বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহাম্মদ মহসীন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। আমার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আন্দোলনের আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ছাত্রশিবির বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি জাতীয় দৈনিক মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছে। তারা লিখেছে, আমি সূর্যসেন হলে ২০১২ সালে ছিলাম। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তিই হয়েছি ২০১৩ সালে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সেটিই করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণার দেয়ার পরই আমরা আন্দোলন থেকে সরে গেছি। অথচ আমাদের বিএনপি-জামায়াত বানানো হচ্ছে। ছাত্রসমাজকে বিতর্কিত করা হচ্ছে, এর চেয়ে আর লজ্জার কি আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর, মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সুত্রঃ গো নিউজ২৪