বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ-
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের সাত দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহার না করার দাবিও জানায় দলটি।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার সঙ্গে এক বৈঠকে সেনা মোতায়েন ও এসপি হারুনকে প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিএনপি। পর সাংবাদিদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের দাবির কথা তুলে ধরেন।
বিএনপি আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনে ভোটের সাত দিন আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানায়। ইভিএম ব্যবহার না করা, এসপি হারুন অর রশীদকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহারসহ ২০ দফা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
গাজীপুরের এসপি হারুনুর রশীদের বিষয়ে বিএনপির আপত্তি পুরোনো। ২০১১ সালে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ওই সময়ের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুককে পিটুনির ঘটনায় হারুন সেখানে ছিলেন। ওই সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী উপকমিশনার ছিলেন।
ওই ঘটনার কিছুদিন পর হারুনের পদোন্নতি হয় এবং পরে তিনি গাজীপুরের পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ পান। কোনো জেলায় এসপি হিসেবে এত বছর থাকা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিএনপির।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এ নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। আমরা কমিশনের কাছে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলেছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তার ইঙ্গিত বহন করে। এই দুই সিটির নির্বাচন কমিশনের জন্য মানুষের আস্থা অর্জনেরও বিষয়।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সবাই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় আছে। সবাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন চায়।’
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি, শঙ্কা ও ভয়ভীতির কারণে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোটারদের অনীহা থাকে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকলে তাদের সাহস বাড়বে এবং ভোট দিতে আসবেন। তাই আমরা দুই সিটিতে ভোটের সাত দিন আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছি।’
মোশাররফ বলেন, ‘কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ও ডিভিএম পরীক্ষামূলক ব্যবহারের কথা আমাদের জানিয়েছিল। তবে আমরা এর বিরোধিতা করেছি। ইভিএম ও ডিভিএম নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এ জন্য আমরা পরীক্ষামূলকভাবেও এটি ব্যবহারে একমত নই।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই। এ জন্যই কমিশনকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন এই দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে পারলে তাদের প্রতি আস্থা সুদৃঢ় হবে। এতে জাতীয় নির্বাচনের একটি বাধা দূর হবে।’