নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
একটু বৃষ্টি হলেই নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা মোড়ে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা, এই
অবস্থা দীর্ঘদিনের। জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একবছর আগে আবেদন করলেও
এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তমালতলা মোড় মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় একটু
বৃষ্টিতেই পানি জমে আছে। রাস্তাটির দু’পাশের পানি ওই স্থানে জমে থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা
তৈরী হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিদিন স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী, মসজিদে আসা
মুসল্লি সহ হাজারো পথচারী এবং ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন চালকদের। এমনকী জরুরীভাবে
রোগী নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
এ্যম্বুলেন্সও নিয়মিত ওই রাস্তায় আসা যাওয়া করে। দৃশ্বপট দেখে মনে হয় বর্ষাকালের বৃষ্টির পানি
যেন এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সঙ্গি। তবে এ জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের
যেন নেই কোন মাথা ব্যাথা। এছাড়াও দীর্ঘসময় রাস্তায় পানি জমে থাকায় পাকা রাস্তার
কারর্পেট উঠে গিয়ে ঐ এলাকাজুরে রাস্তাটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা
রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় ঐসকল খানাখন্দে পড়ে গিয়ে প্রতিনিয়তোই নষ্ট হচ্ছে তাদের বই-
খাতা ও স্কুল ড্রেজ ।
এ ব্যাপারে তমালতলা নূরপুর মালঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইসমাইল হানিয়া বলেন,
স্কুলে যাওয়ার সময়ে জলাবদ্ধতার ওই স্থানেই তার জামা-কাপড়ে কাদা-পানি লেগে গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বাচ্চু সরকার বলেন, ‘এমন গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ীভাবে রাস্তাটি সংস্কার ও
জলাবদ্ধতার সমাধানে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়। তবুও আজ পর্যন্ত
কর্তাব্যাক্তিগণ সমাধানতো দুরের কথা, একদিন দেখতে পর্যন্ত আসলেন না। দেশের নাগরিক
হিসেবে আমাদের কী কোন মূল্যায়নই নেই?
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রাইভার আব্দুস সালাম জানান, জেলা শহর হয়ে ঘুরে রামেক-এ যেতে
প্রায় ৭কিলোমিটার রাস্তা বেশী হয়, তাই তমালতলা হয়ে যাই কারণ, রাস্তাটি নিরাপদ। কিন্তু
তমালতলা মোড়ের ওই জলাবদ্ধতার স্থানটিতে খানাখন্দ থাকায় রোগীদের কষ্ট হয়। একদিন এ্যম্বুলেন্সের
চাকা পুতে গিয়ে আমাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। রাস্তিাটি দ্রুত সংস্কার হলে খুবই ভাল
হয়।’
তমালতলা ইকরা ইসলামী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিল্পপতি আনিছুর রহমান বলেন, ‘জলাবদ্ধতার
বিষয়টি প্রশাসনের অতিব গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত, কারণ সেখানে একটি মসজিদ আছে।
মুসল্লিগণ প্রতি ওয়াক্তেই মসজিদে আসতে বাধাগ্রস্ত হয়। আবার পাশেই একটি ইসলামী
স্কুল কোমলমতি শিশুরা স্কুলে আসা-যাওয়াতে বিড়ম্বনায় পড়ে। তাই রাস্তার ক্ষত স্থানটি
জরুরীভাবে মেরামত করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা প্রয়োজন।’
জলাবদ্ধতা সমস্যাটি অস্থায়ীভাবে সমাধান করতে চাওয়ার বছর পার হলেও কেন, কার্যকর পদক্ষেপ
গ্রহণ সম্ভব হয়নি জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী এসএম শরিফ খান দাবি করেন,
‘আমাদের লোক গিয়েছিল এবং পানি বের হওয়ার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা সে সময় নেয়া হয়।
আবারো একই অবস্থা হলে আমি লোক পাঠাবো। তবে খানাখন্দ গুলো ইট দিয়ে পুরণ করার কোন
সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।