বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাই তিনি আজ নিকট আত্মীয়দের সাথেও দেখা করতে পারেননি।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা তাঁর (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। তাঁর ইচ্ছামত চিকিৎসক ও হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’
খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারেনি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আজ স্বজনরা কারাগারে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে পা, হাঁটুসহ সারা শরীরে তীব্র ব্যথার কারণে তিনি দেখা করতে পারেন নি। তিনি তাঁর জেল কক্ষ থেকে ওয়েটিং রুম পর্যন্তও আসতে পারেননি।’
রিজভী বলেন, ‘আজ বিকেল সোয়া চারটে থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করার পর কারা কর্তৃপক্ষের লোকেরা পরিবারের লোকজনদেরকে জানায় যে, বেগম জিয়া অসুস্থতার কারনে দেখা করতে পারবেন না। সুতরাং কারা কর্তৃপক্ষও স্বীকার করলো যে, বেগম জিয়া অসুস্থ।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাঁর পছন্দমত রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ঘটনায় দেশের আপামর জনগণ উদ্বিগ্ন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে যাওয়ার পরও খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হয় নি। এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদেরও তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না । সব মিলিয়ে আমরা এক গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।’
রিজভী আরো বলেন, ‘আমরা গত কয়েক দিন ধরে বেগম খালেদা জিয়ার অবনতিশীল স্বাস্থ্যের বিষয়ে অবহিত করেছি। আজ বিকেলে দেশনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সাথে কারাগারে দেখা করতে গেলে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকার কারণে তাদের সাথে কারা কার্যালয়ে দেখা করতে পারেননি। দেশনেত্রীর অসুস্থতার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গড়িমসি করছে। বরং কারা কর্তৃপক্ষ দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।