নিজস্ব প্রতিবেদক হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে জমি দখলকে কেন্দ্র করে থানায় পাল্টাপাল্টি জিডি করা হয়েছে। বাদী মোঃ মুক্তার হোসেন এর জিডি নং ১২৯, তারিখ ০২/০৪/২০১৮ইং। মোছাঃ পান্না ইসলাম এর জিডি নং ৮৯৯/তারিখঃ ১২/০৪/২০১৮ইং। উক্ত জিডি সুত্রে জানা গেছে, আশুলিয়া থানাধীন ধনঞ্জয়পুর মৌজাস্থ ১৭ শতাংশ জমিতে ৪২টি কক্ষ রুম দখলকে কেন্দ্র করে এই পাল্টাপাল্টি জিডি হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এলাকাবাসী জানায়, উক্ত এলাকায় এরকম অনেক জমি দখল করে স্থাপনা করা হলেও পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোনো ভুমিকা নেই বললেই চলে। অনেকেই বলছেন, যে কোনো সময় এ এলাকায় জমি দখল ও চাঁদাবাজি নিয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটতে পকককারে, এমন কি হত্যাকান্ডের মত ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ঢাকার আশুলিয়া থানার বগাবাড়ি, ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, বেরুন কাঁঠালতলা, মানিকগঞ্জ পাড়া, নসিংহপুর, বাংলাবাজার, বাগবাড়ি, ভাদাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, খুন, জমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক (ক্রাইম) হচ্ছে, এ যেন দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, বাঘেরহাট জেলার মোস্তফা কামাল আশুলিয়ার জামগড়া নেটকালেকশন শিল্প কারখানার গেটের সামনে একটি প্লট ক্রয় করেন স্থানীয় রোমান ভুঁইয়ার কাছ থেকে, সেখানে স্থাপনা তৈরি করে ২ বছর বসবাস করার পর নেট কালেকশন ওই বাড়ি ঘর ও জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোস্তফা কামাল, তিনি বলেন, কোম্পানির জমি ক্রয় করেও এই সমস্যা হয়েছে, এ যেন দেখার কেউ নাই, পুলিশের উপর মহলে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় নাজমুল, সজিব, ও নয়ন জানান, রিক্সা ও অটো রিক্সার ড্রাইভারদের কাছ থেকেও লাখ টাকার চাঁদাবাজি আদায় হয়ে থাকে।একটি চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়ি-ঘর জমি দখল করে আসছে, একাধিকবার জমি বিক্রি হচ্ছে এবং এলাকায় মাদক ও বিভিন্ন জুয়া খেলার টাকা জোগার করতে যুবকরা এলাকায় এসব চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ক্রাইম করছে, এদের দিয়ে অনেকেই জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করাচ্ছে বলে অনেকেই জানান। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।