মহিউদ্দীন আহমেদ, কলকাতা।
ভারত বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে চালু হতে চলেছে বাস পরিষেবা। বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ৫২ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে এসে পৌছায় দুটি বাস। সোমবার বাসটি ঢাকা থেকে বাংলাদেশের ৩৫, ভারতের ১১ ও নেপালের ৬ যাত্রী নিযে রওনা হয় ফুলবাড়ির উদ্দ্যেশে। এছাড়াও বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ড , যোগাযোগ, বিদেশ,স্বরাষ্ট্র প্রতিনিধিরাও এই বাসে এসেছেন।
মঙ্গলবার ফুলবাড়িতি এসে পৌছালে সেখানে এসএসবি-এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর বাস দুটি মঙ্গলবার শিলিগুড়ির উওরকন্যাতে থাকে। এবং বুধবার সকালে নেপালের কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্য পানিট্যাঙ্কি এসে পৌছায়। সেখানও এসএসবি পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এদিন সংবর্ধনা দিতে উপস্থিত ছিলেন এসএসবি ৪১ নং বেটেলিয়ানের আইজি এস বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিআইজি অসিত কুমার দাস, মেডিক্যাল কমান্ডেন্ট রিঙ্কু দে ও ৪১ নং এসএসবি কমান্ডেন্ট হরিরাম ভারত। এরপর পানিট্যাঙ্কি থেকে রাওনা দেন নেপালে। এরপর বাস দুটি নেপালে প্রবেশ করতেই বাসের যাত্রীদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা দিতে উপস্থিত ছিলেন মেচী করপোরেশন চেয়ারম্যান বিমল আচারি, নেপাল পুলিশের ডিএসপি টঙ্কো প্রসাদ,নেপাল চেম্বার অফ কমার্শিয়ালের সদস্য কেশব পান্ডে সহ নেপালের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য বছর দুযেক আগে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের লক্ষ্যে খুলে দেওয়া হয়েছিল ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট। এরপর ফের একবার বন্ধুতের হাত বাড়িয়ে দিল তিন দেশ।
এই বাস যাত্রা অবশ্য পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছে। এই উদ্যোগে তিন দেশের বুদ্ধিজীবীরা খুশি।