অনলাইন ডেস্কঃ-
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া বক্তারা। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বন্দুকযুদ্ধের সমালোচনা করে নিহতদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
আজ রোববারের রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। ইফতার মাহফিল হলেও ঘুরে ফিরে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয় ও জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে উঠে আসে বক্তাদের কথায়। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই, খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তার নজির এমন মন্তব্য করে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে কেউ নিরাপদ নই আমরা। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হতে পারি তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। আজকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। সেই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার আহ্বান আমি সকল দলের প্রতি, সকল নেতার প্রতি জানাচ্ছি।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কি এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তির একটাই পথ, আমাদেরকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের ভেতরে সংহত হতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসতে চান, তারা বুঝে শুনেই চলে। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে। এই জাগরণ থাকবে। ইনশাল্লাহ আমরাও তাদের সঙ্গে থাকব।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও চলমান মাদক বিরোধী অভিযান নিয়েও কথা বলেন বক্তারা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এমপি সাহেবের কোনো প্রমাণ পান নাই, যে ৭৮ জনকে হত্যা করেছেন তাদের সবার নামে প্রমাণ পাইছেন? মামলা থাকা, আর অভিযোগ থাকা আর প্রমাণিত হওয়া দুইটা তো এক জিনিস নয়।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মোদি রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলেন না। মমতা ব্যানার্জি তিস্তা নিয়ে কথা বলেন না। আপনি কোনোটা নিয়ে কথা বলতে পারেননি। তারপরও সেখান থেকে বড় গলায় বলেন, সমস্ত পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াগুলোতে একটাই প্রচার করছে, মনে হচ্ছে আপনি ভারত জয় করে এসেছেন।’
সরকার ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটলে দেশ আরো সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেন অনেক বক্তা।