মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি॥ তামাকের
অবাধ ব্যবহারের কারণে দিন দিন ধুমপায়ীর হার আশংকা জনক হারে
বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর শতকরা ৫৮জন পুরুষ ও ২৯জন নারী
ধোয়াযুক্ত এবং ২৮জন নারী ও ২৬জন পুরুষ ধোয়াবিহীন তামাক
ব্যবহার করেন আর দেশে ৪কোটি ২০লাখ অধুমপায়ী পরোক্ষ ধুমপানের
শিকার।
প্রতি বছর ১২লাখ মানুষ তামাক জনিত রোগ যেমন ফুসফুসের
ক্যান্সার, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, হৃদরোগ, শ্বাসজনিত সমস্যা আরও
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
২০১৩সালে সংশোধিত আকারে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন পাশ হলেও
তার প্রয়োগ সীমিত। ফলে পাবলিক প্লেস ও পরিবহণে প্রতি
নিয়ত আইনের লঙঘন হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সচেতনতা ও আইনের সুষ্ঠু
প্রয়োগের মাধ্যমে পরোক্ষ ধুমপান হতে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা
সম্ভব।
(২৯শে মে)দুপুরে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও বেসরকারী সংগঠন
ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল’র(ডিসি) উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের
সম্মেলন কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন শীর্ষক
অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ রণজিৎ কুমার বর্মণের সভাপতিত্বে সভায়
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন,
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার নাহিদ হোসেন, সিনিয়র
সহকারী পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সমাজ সেবা অধিদপ্তর
নীলফামারীর উপ পরিচালক ইমাম হাসিম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসি’র প্রোগ্রাম অফিসার
মোহায়মিনুল ইসলাম মানিক।
প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে ৫৭হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়
তামাক ব্যবহার জনিত রোগে আর পঙ্গুত্ব বরণ করেন ৩লাখ
৮২হাজারেরও বেশি।
আইনের যথাযথ প্রয়োগের দুর্বলতার সুযোগে তামাক
কোম্পানীগুলো আইন লঙঘন করে তাদের ব্যবসা ও প্রচারণা অব্যাহত
রেখেছে। সকল ধরণের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও নগরীতে তামাকের
বিক্রয়কেন্দ্রে প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন, অপ্রাপ্ত বয়সীদের কাছে
তামাকপণ্য বিক্রয়ের মত আইন লঙঘন নিয়মিত ঘটছে।
দেশের প্রতি বছর তামাক খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৭ হাজার
কোটি টাকা আর তামাক জনিত রোগের কারণে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়
হয় ১১ হাজারে কাটি টাকা।
বক্তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রচার ও এর যথাযথ প্রয়োগের
দাবী জানান।
সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দফতর প্রধান, সাংবাদিক ছাড়াও
বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এতে।