ঢাকা: সময়োপযোগী করতে দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলীয় সভানেত্রীর ক্ষমতা বাড়ানোরও চিন্তাভাবনা করছে দলটি।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভায় এসব বিষয়েই আলোচনা হয়।
দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের গঠনতন্ত্র উপকমিটির আহ্বায়ক ও দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের একটি পদ রয়েছে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকদের পদ তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। মহানগর, উপজেলা, জেলা নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হওয়ায় ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে আমরা নির্বাচনটি করবো এ বিষয়টি গঠতন্ত্রে উল্লেখ করা হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে যে সম্মেলনগুলো হবে তা গঠনতন্ত্রে কীভাবে থাকবে। তাছাড়া সাংগঠনিক কাঠানোগত কোনো পরির্তন হবে কি না সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, গত সভায় আমরা আলোচনা করেছিলাম, গঠনতন্ত্র নিয়ে তৃণমূল পর্যায়েও আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের মতামত নিবো। আমরা সারা দেশের জেলা উপজেলা ও থানা থেকে আগামীকাল (শুক্রবার) সুপারিশ পাব বলে আশা করছি।
একই সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, আমাদের সংবিধানের ধারাগুলোকে লক্ষ্য রেখে দলের গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস একই। এখন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী গণতান্ত্রিক নেত্রী হিসেবে অত্যন্ত শক্তিশালী। এর জন্য আগের চেয়ে দলীয় সভানেত্রীর ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।