হাসান মাহমুদ,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
মাদক বাল্য বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ দমনে
সচেতনতা বাড়াতে বাইসাইকেল চালিয়ে ৭৬ দিনে সারাদেশ
ঘুরে এসেছে লালমনিরহাটের দুই কিশোর ও স্কাউট সদস্য
মোহন্ত ও রাকিবুল ইসলাম। দেশ ঘোরা শেষে ৩ জুন রবিবার তারা
তাদের নিজ বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে আসে।
এর আগে তাদের দেশ ঘোরা সম্পন্ন হয় গত ২৬ মে এবং
এসএসসি পরিক্ষা শেষে গত ১১ মার্চ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
জেলার আদিতমারী জিএস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠ
থেকে তারা তাদের যাত্রা শুরু করে।
মধু উপজেলা সদরের বিনয় কুমার মোহন্তের ছেলে এবং
রাকিবুল ইসলাম একই উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের
চড়িতাবাড়ী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। মধুর বাবা একজন
ফার্নিচার ব্যবসায়ী ও রাকিবুলের বাবা একজন পার্টস
বিক্রেতা। তাদের দুজনের খরচ হয়েছে ৬০ হাজার ৭শত টাকা। আর
এই টাকা দিয়েছে তাদেরই বাবা।
এদিকে ওই দুজন কিশোর আদিতমারী জিএস মডেল উচ্চ
বিদ্যালয় থেকে এবার সফলতার সাথে এসএসসি পাশ করেছে।
মধু পেয়েছে ৪.৮৬ ও রাকিব পেয়েছে ৪.১১। তবে ফলাফলের খবর
রাস্তায় থেকে সংগ্রহ করে এবং সেখানেই তারা নিজেরাই
দুজন দুজনকে মিষ্টি মুখ করে। ফলাফলের খবর পেয়ে আনন্দটা
পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে না পারলেও দেশের মানুষের সঙ্গেই
আনন্দটা ভাগাভাগি করেছে তারা।
মধুর সাথে কথা হলে সে জানায়, আমাদের দেশে মাদক আর
বাল্য বিয়েসহ অনেক সামাজিক অপরাধ অনেক বেড়ে গেছে।
নিজেরা আর সবাইকে সচেতন করতে পারলেই কমে আসবে এসব
অপরাধ। তাই সবাইকে সচেতন করতেই তারা এসএসসি পরিক্ষা
শেষ করেই বেড়িয়ে পরে দেশ ঘুরতে। আর তাই পরিবার ও শিক্ষকদের
সাথে কথা বলেই তারা যাত্রা শুরু করে। আর যাত্রা শুরুর আগে তাদের
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানান আদিতমারী উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
রাকিবুল জানায়, এ যাত্রায় গ্রাম থেকে গ্রামে, তারপর
শহরে। যেখানে যার সাথে দেখা হয়েছে তাদের সাথেই কথা বলে
সচেতনা মুলক প্রচারনা চালানো হয়। পুরো দেশ ঘুরে গত ২৬
মে ৬৪নম্বর জেলা হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আমাদের
যাত্রা শেষ হয়। এর ঢাকা ফিরলে সেখানে ২ জুন ঢাকাস্থ
লালমনিরহাট ছাত্র কল্যান পরিষদ প্রথম সংবর্ধনা দেয়। তারপর ঢাকা
থেকে বাড়ি ফিরি আমরা।
ঢাকাস্থ লালমনিরহাট ছাত্র কল্যান পরিষদের উপদেষ্টা খন্দকার
আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, তাদের এই সচেতনা মূলক ভ্রমন
সত্যিই প্রশংসার।