নীলফামারী থেকে ফিরে
হাসান মাহমুদ :
ডিমলা ও ডোমার উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-১
আসন। এক সমম এ আসন জাতীয় পার্টির দূর্গ ছিল।
কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিনের যৌগ্য
নেতৃত্বের কারনে বদলে গেছে আওয়ামীলীগ। দলে নেই
কোন গ্রুপিং। ফলে তার নেতৃত্বের কারনে একদিকে
এলাকার উন্নয়ন ও অপরদিকে দল হয়েছে শক্তিশালী। তার
সময়েই প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প
বাস্তবায়ন হয়েছে। আর সে কারণে বর্তমান আসনটি
আওয়ামীলীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
আফতাব উদ্দিন ১৯৫০ সালের ৬ এপ্রিল নীলফামারী
জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামে এক সম্ভান্ত
পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ
করে আফতাব উদ্দিন সরাসরি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে
পড়েন। ১৯৬৮-১৯৬৯ সালে তৎকালীন নীলফামারী মহকুমারের
ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পালন
করেন। ১৯৭১ সালে তিনি সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের
ডিমলা উপজেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
সে সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে ভারতের হাফলং
মিলিটারী ট্রেনিং ক্যাম্পে মুজিব বাহিনীর সদস্য
হিসেবে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩
সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব
পালন করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল ও ২০০৯ থেকে ২০১৪
সাল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৬ সাল
থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির
দায়িত্ব পালন করছেন। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন
আফতাব উদ্দিন সরকার। এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে
পরিচিত তিনি। তার ছোটভাই আবুল কাশেম সরকার
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাতিজা পারভেজ
জেলা পরিষদ সদস্য।
ভ্যানচালক ভোলানাথ বলেন, আগামী সংসদ
নির্বাচনে আফতাব উদ্দিন মনোনয়ন পেলে নৌকার
বিজয় হবে।
ব্যবসায়ী সফিয়ার রহমান বলেন, আফতাব উদ্দিন
এমপি’র দক্ষ নেতৃত্বের কারনে সংসদীয় আসনটি
আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে গয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ফয়সাল
ইবনে মুন বলেন, আফতাব উদ্দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ
এলাকায় কার্লভাট ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
স্থানীয় শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য
আফতাব উদ্দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন
করেছেন তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। ৪৭ কোটি টাকা
ব্যয়ে নির্মানাধীন ৫তলা বিশিষ্ট সরকারী টেকনিক্যাল
স্কুল এন্ড কলেজ অন্যতম।
এ বিষয়ে সাংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন এমপি
বলেন,‘‘আমি ছোট থেকেই জনকল্যানে নিজে
নিয়োজিত করেছি। আর জনগণ তার প্রতিদান আমাকে
দিয়েছে। আমি এমপি হয়েছি। আমি সারা জীবন
জনগণের সেবা করতে চাই’’