বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

চিরিরবন্দরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮
  • ৪৬০ বার পড়া হয়েছে

এস.এম. নুর আলম, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ আর মাত্র ক’দিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে
বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। তাই জমে উঠেছে ঈদের বাজার। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে চিরিরবন্দর
উপজেলার কেনাকাটায় বাজারের বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা
শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন ইউনিয়নে বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপঁচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দিন-রাতে যখনই সুযোগ হচ্ছে তখনই ঈদের কেনাকাটায় বেরিয়ে পড়ছেন নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ ভিন্ন
বয়সের ক্রেতারা।
তবে এসব বাজারে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে মহিলা ক্রেতার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। রোজার প্রথম থেকেই
কাটা কাপড়ের বিপণীবিতানগুলোতে ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে অনেক ব্যবসায়ী জানান। বাজারে আগত
অনেক ক্রেতাই জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব রকমের আইটেমেরই দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। তার
পরেও সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে
ইফতারির পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপণীবিতানগুলোতে ভিড় বেশি থাকছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলা সদর, ভূষিরবন্দর, রাণীরবন্দরের সড়কে রিকশা,
ইজিবাইকের বহর। এতসব ঝক্কি-ঝামেলার পরও ঈদের দিনটি রাঙিয়ে তুলতে এক দোকান থেকে আরেক
দোকানে পছন্দের পোশাকটি খুঁজে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। যে দোকানেই পছন্দ হচ্ছে সেখান থেকেই ক্রেতারা
কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। এবার চিরিরবন্দরের বাজারে শাড়ি, থ্রি-পিস, সালোয়ার, কামিজ, টি-শার্ট, জিন্স
প্যান্ট প্রভৃতি কাপড়ের আইটেমসহ বাহারি জুতা-স্যান্ডেলের সমাহার রয়েছে।
বাচ্চাদের কাপড়ের আকষর্ণীয় ডিজাইন ও বাহারি রঙের সমাহার যেমন রয়েছে তেমনি নিত্য নতুন নামেও
এবার বাচ্চাদের ভিন্ন আইটেমের কাপড় রয়েছে। বাজারগুলোতে ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ-তরুণী ও
মহিলাদের আধিক্যই সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় তরুণীরা দল বেঁধে
দোকানগুলোতে ভিড় করছে। দামও বেশি হওয়ায় সব ধরণের পোশাক ক্রেতা কিনতে পারছেন না বলে অনেক
ক্রেতা অভিমত ব্যক্ত করেন। এক বছরের শিশু থেকে শুরু করে তরুণীদের এক সেট পোশাক ৫০০-২০০০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ক’জন পোশাক ব্যবসায়ী জানান, দোকানগুলোতে বিভিন্ন পাঞ্জাবির
পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ট্রাউজারও।
তবে সূতি পাঞ্জাবির চাহিদাই বেশি। পাঞ্জাবি নি¤েœ ৭০০ থেকে উপরে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি
হচ্ছে। তারা আরো জানান, দেরিতে হলেও চিরিরবন্দরে ঈদের বাজার ক্রমেই জমে উঠেছে। ক্রেতারা নেড়ে-
চেড়ে দেখছেন এবং তুলনামুলকভাবে সকল রকম কাপড়ই কিনছেন।
রিকশাচালক আখতারুজ্জামান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাবেরউদ্দিন জানান, আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ।
সারাদিন কষ্ট করে অল্প টাকা আয়-রোজগার করি খাই। ঈদে ছেলেমেয়ের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি।
গেল বারের চায়া এইবার দাম অনেক বেশি হওয়ায় হিমশিম খাছি। নিজের পোশাকটি কিনবার না পারলেও
ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু পোশাক কিনেচি।
আরো ক’জন ক্রেতা জানান, দাম বেশি হওয়ায় পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও মনের মতো পোশাক ক্রয় করা
যাচ্ছে না। সাধ্যের মধ্যে কম দামে জামা কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র গ্রামীণ
শহর রাণীরবন্দরে বিভিন্ন বিপণীবিতান থাকায় পাশ্ববর্তী খানসামা, দিনাজপুর সদর, কাহারোল
উপজেলার অনেকেই ভিড় করছেন।
এখানে একসাথে কাপড়, কস্মেটিক, মোবাইল ও ইলেকট্রিকস পণ্যের বেশকিছু দোকান রয়েছে। নশরতপুর

রহমানিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা সুপার মার্কেট, আব্দুল বারী সুপার মার্কেট, রোস্তম এন্ড সন্স,
মেসার্স মমতাজ এন্ড সন্স এবং খানসামা সড়কের দোকানগুলোতে বেশি ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা
যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের আক্ষেপ করে বলতে শোনা গেছে, এবার সব কাপড়ের দাম বেশি, তাদের কেনার
সাধ্য নেই।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন পাইকারি মোকামেই বেশি দামে ঈদ মার্র্কেটের কেনাকাটা করতে হয়েছে।
আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা ন্যূনতম লাভেই কেনাবেচা করার চেষ্টা করছি। কেনাকাটা শেষে মেয়েরা
ছুটছে তাদের রুপচর্চার জন্য বিভিন্ন কস্মেটিক দোকানে। অপরদিকে, বিভিন্ন প্রতিকুলতা কেটে
অনেকেই ঈদের কেনাকাটা করলেও সমস্যায় পড়েছেন নিুবিত্ত ও মধ্য আয়ের পরিবারের লোকজন।
সুলভ মূল্যে বিভিন্ন দোকানে এসব পোশাক ক্রয় করতে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা
যাচ্ছে। টেইলারগুলোতে কাপড়ের অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের
উপস্থিতির কমতি নেই। সব মিলিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় জমে উঠেছে চিরিরবন্দরের ঈদ বাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451