অনলাইন ডেস্কঃ-
হঠাৎ করেই সোমবার দিবাগত রাতে শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে কয়েকটি গণমাধ্যম। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার শক্তিমান এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব বের হয়। ওই রাতেই এক ভিডিও বার্তায় সরাসরি এ টি এম শামসুজ্জামান জিজ্ঞেস করেন, ‘এসব করে কী লাভ?’ এ সময় সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
শামসুজ্জামান ফেসবুকের একটি পেজে এসে বলেন, ‘যে একাত্তর চ্যানেল, গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল তারা আজ আমাকে মেরেছে। তারা … প্রকৃতির। একাত্তরের মতো চ্যানেল না জেনে, না শুনে কী করে তারা এ ধরনের নিউজ দিতে পারল, আমার মাথায় আসে না। আমি বাড়ির নাম্বারে ফোন করলেও তো পারত!’
এ টি এম শামসুজ্জামান মৃত্যুর গুজবে বেশ কয়েকজন তারকাশিল্পী ও পরিচালক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তাঁরা ভুল বুঝতে পারেন এবং পুনরায় স্ট্যাটাস দিয়ে আবার সেটা পরিষ্কার করেন।
পরিচালক সকাল আহমেদ ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, এ টি এম শামসুজ্জামান আর নেই। পরে তিনি আরো একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলে, ‘বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান সুস্থ আছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান এ টি এম শামসুজ্জামান। ১৯৬৫ সালে সর্বপ্রথম চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখেন। ছবির নাম ‘জলছবি’ এবং এর পরিচালক ছিলেন এইচ আকবর। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুক যাত্রা শুরু করেন।
এ টি এম শামসুজ্জামান বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে খান আতাউর রহমান, কাজী জহির, সুভাষ দত্ত অন্যতম। ১৯৬৫ সাল থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। প্রথম অভিনীত ছবি ‘ন্যায়ী জিন্দেগী’, যা শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি।
পরিচালনার প্রথম ছবি ‘এবাদত’। ২০০৬ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি মোটামুটি দর্শকপ্রিয়তা লাভ করলেও এ টি এম শামসুজ্জামান আর কোনো চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজে হাত দেননি।