ঢাকা: সরকার সাঁড়াশি অভিযানের নামে বিরোধী দলগুলোকে দমনের আশঙ্কা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, সরকার সাঁড়াশি অভিযানের কথা বলে ক্রসফায়ার বা তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বেড়ে গেছে। ৯ জন ইতিমধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এটা (সাঁড়াশি অভিযান) হচ্ছে তাদের সেই কৌশল, যেই কৌশল করে তারা এখানে জনগণের আন্দোলনকে দমিয়ে রেখেছিলো। আজকে এই সাঁড়াশি অভিযানের অজুহাত নিয়ে তারা আবারো বিরোধী দলগুলোকে ওপর দমন চালানো হচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
শুক্রবার সকালে বিএনপির মহাসচিব আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভেরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আজিজুর রহমানকে দেখতে যান। চিকিৎসকদের কাছে থেকে তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
উল্লেখ, গত ২ জুন ইউনিয়ন পরিষদের শেষ ধাপের নির্বাচনের দুইদিন আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত তিনি।
আহত আজিজকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত দুইদিন আগে তার অস্ত্রোপচারের বাম পা কেটে ফেলা হয়।
শেষ ধাপের নির্বাচনে আজিজ ভেরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। হাসপাতালে আজিজুর রহমানকে দেখে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে মির্জা ফখরুল।
বিএনপি এই নেতা বলেন, সম্ভবত আজিজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছিলো। আল্লাহর সহায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। সেজন্য তাকে এভাবে গুলি করার পরও এলাকার জন্গণ তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এটার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে-ঘোলা পানিতে তারা তাদের যে ক্ষমতা সেটাকে চিরস্থায়ী করে রাখবার জন্য মানুষের অধিকারগুলোকে হরণ করেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
এই সময় তার সাথে অরো ছিলো বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, গাইবান্ধা জেলা সহ সভাপতি মো. হাসান আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।