সকাল, বিকেল বা সন্ধ্যায় যখনই দৌড়ানো হোক না কেন দৌড় ব্যায়ামের সেরা একটা উপায়। এটা এমনই এক ব্যায়াম যা কখনো পুরনো হয়নি, হবেও না। তবে দৌড়ানোর পর অনেক সময় শরীর স্বাভাবিক অবস্থায়
ফিরতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কারো কারো আবার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। দৌড়ের পর বিরামহীন ঘাম হওয়ার অভিযোগও আছে। এসব সমস্যা সত্যিই ভয়ংকর, সেই সঙ্গে অস্বস্তিকরও বটে। আরো ভয়ংকর ব্যাপার, এসব সমস্যার সমাধানে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। এসব অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় জানতে হবে। দৌড় শেষে যেন কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। সেসব পালন করলে দৌড়ের উপকারিতা পুরোপুরি কার্যকর হবে।
গতি কমাতে হবে
দৌড় অনুশীলনের সময়ে হঠাৎ করে দৌড় থামিয়ে দেওয়া ঠিক না। আস্তে আস্তে গাড়ির মতো গতি কমিয়ে থামা ভালো। কেননা যখন দৌড় শুরু করা হয় তখন হঠাৎ করেই গতি বাড়ে না, ধীরে ধীরে বাড়ে; তেমনি থামার সময়ও একই নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হঠাৎ করে দৌড় থামিয়ে দিলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়, যে কারণে বমি ভাব, ক্লান্তি, দুর্বল ভাব আসতে পারে। এমনকি জ্ঞান হারানোর আশঙ্কাও থাকে। ধীরে ধীরে দৌড় থামালে ইনজুরির আশঙ্কাও থাকে না।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান
পানিশূন্যতা রোধে দৌড়ানোর আগে, দৌড়ানোর সময় এমনকি দৌড়ানোর পরে পানি পান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দৌড়ানোর সময় ঘাম হওয়ায় শরীর থেকে অনেক পানি ঝরে যায়। পানি, ফলের রস বা এনার্জি ড্রিংক শরীর থেকে ঝরে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণ করে। তা ছাড়া এ সময় পানি পান দৌড়বিদকে শান্ত রাখতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিলে শরীরে অক্সিজেন এবং রক্ত চলাচলে সহজ হয়। তা ছাড়া দৌড় শেষে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিলে হারানো শক্তি দ্রুত ফিরে পাওয়ার কাজটা সহজ হয়।
সুত্র,কা/ক