বাংলার প্রতিদিন ঃ
ফেনীর মুহুরি ও কহুয়া নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাড়ছে নতুন করে প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা। ফসলি জমি ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকাবাসী। ত্রাণ সহায়তা ও দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা। অবশ্য, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরি-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী উপজেলার ৯টি এবং পরশুরাম উপজেলার ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের ও ফসলি জমি। প্রবল স্রোতে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চাষ করা মাছ সব নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া যত পোল্ট্রি ফার্ম ছিল সব স্রোত নিয়ে গেছে।’
‘ঈদের আনন্দই শেষ। কিভাবে থাকবো, খাব কিছুই জানি না।’
পানি কমলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কোহিনুর আলম বলেন, ‘বিপদ সীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট করবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। চাল, টাকা মজুদ আছে। আমরা বরাদ্দ দিতে পারবো।’
মুহুরি-কহুয়া-সিলোনিয়া বাঁধ ভেঙে বন্যার কবলে পড়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ।