অনলাইন ডেস্কঃ-
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিপক্ষের লোকজনের কুপিয়ে হত্যা করা এক ‘রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতার’ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কে বা কারা, কি কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে ; তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী-১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।
নিহত আরিফ উল্লাহ (৩৪) একই ক্যাম্পের মো. এখলাসের ছেলে। তিনি বালুখালী-১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের প্রধান মাঝি (কমিউনিটি নেতা)।
ওসি খায়ের বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় ক্যাম্পে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
‘হামলাকারীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরিফ উল্লাহকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আরিফ উল্লাহ’র হত্যাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ওসি।
খায়ের বলেন, কে বা কারা কি কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে কোন বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে উখিয়ার ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও পুলিশের উখিয়া সার্কেলের এএসপি চাইলাম মার্মা সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন বলে জানান ওসি।
খায়ের জানান, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দশ জন আহত হয়েছে।
সোমবার রাত ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ওসি রণজিত বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ধারালো দা-ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।