ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি যুবকের দ্বারা ছুরিকাঘতের শিকার হয়ে
গত ১০দিন থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আহত যুবক সাগর হোসেন। আহত
সাগর হোসেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ী মঞ্জুপাড়া গ্রামের
নুরনবীর ছেলে।
এদিকে গ্রাম্য মাতবরদের চাপে মামলাও করতে পারছেনা ভুক্তভোগী ঐ পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ জুন বিকাল সাড়ে ৪টায়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী
উপজেলার সন্নিকটে নবাবগঞ্জ উপজেলার ১ নং জয়পুর ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী
গ্রামে।
ছুিরকাঘাতের শিকার সাগর হোসেন পিতা নুরনবী বলেন, তার ছেলে সাগর
হোসেন, তাদের পার্শবতী দামোদরপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিউর
ইসলামের নিকট টাকা পাইতো, সেই টাকা চাইতে গেলে, শফিউল ইসলাম ও
শফিউল ইসলামের পিতা আব্দুল হামিদ পরিকল্পিত ভাবে, টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে
নিয়ে গিয়ে, তাদের বাড়ীর পাশে আম্বীয়ার মোড় নামক বাজারে জনসস্মুখে
নাপিতের দোকান থেকে কাঁচি নিয়ে, সাগর হোসেনের পেটে ও বুকে আঘাত
করে, এতে সে গুরুতর আহত হয।
এসময় স্থানীয় দোকান্দারদের সহযোগীতায় সাগর হোসেনকে আহত অবস্থায
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি
হওয়ায়, তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়। সেখানকার চিকিৎসক সাগর হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায়
প্রেরন করেন। সাগর হোসেনের পিতা নুরনবী অভিযোগ করে বলেন, তিনি থানায়
মামলা দায়ের করার জন্য গিয়েছিরেন কিন্তু স্থানীয় কিছু মাতব্বর বিষয়টি স্থানীয়
ভাবে মিমাংশা করার কথাবলে তাকে মামলা করতেও দিচ্ছেনা।
আম্বীয়ার মোড়ের সেলুন দোকান্দার শ্রী রাম চন্দ্রশীল বলেন, তার দোকানের সামনে
সাগর ও শফিউলের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে র্তক-বির্তক হচ্ছিল, এরেই মধ্যে
শফিউল তার দোকানের কাঁচি নিয়ে সাগরকে আঘাত করতে থাকে, সে বাধা
দিতে গেলে শফিউল তাকেও কাচি দিয়ে আঘাত করে তবে সে বেশি আহত হয়নি।
একই কথা বলেন আম্বীয়ার মোড়ের দোকানদার দেলওয়ার হোসেন।
এই বিষয়ে ছুরিকাঘাতকারী শফিউলের পিতা আব্দুল হামিদ এর সাথে
যোগাযোগ করা হলে, তিনি তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার ছেলে
শফিউর ছুরি মেরেছে এই ঘটনা দেখে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, তিনি
বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্ঠা করছেন।
এই বিষয়ে জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আইনুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ
করা হলে, তিনি বলেন ধানকাটা টাকা নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে, বিষয়টি
স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করার জন্য উভায়পক্ষকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আহত সাগর সুস্থ্য না
হওয়ায়, হতাশা দেখা দিয়েছে সাগরের পরিবারের মধ্যে, চিকিৎসকেরা বলছেন এখন
পর্যন্ত আশঙ্কা মুক্ত নয় সাগর।
মে/হে/উ