অনলাইন ডেস্কঃ-
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে প্রশাসন ও ইসি সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দলের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য- ‘সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ম্যাসেজ নেই’- এর সমালোচনা করে রিজভী বলেন: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্র সরকারের মেসেজ প্রতিপালিত হচ্ছে অক্ষরে অক্ষরে। প্রতিটি লোকালয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির কাজ খুব সুচারুভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
তিনি বলেন: পাইকারি হারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় তল্লাশি, বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে আটক, নতুন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের হানাদারী আগ্রাসন, সরকারি দলের মেয়র, মন্ত্রী ও নেতাদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গসহ সর্বোপরি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পুলিশের গাড়িতে করে প্রচারাভিযান ইত্যাদি ঘটনায় সরকারের মেসেজটা কী তা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের বুঝতে বাকি নেই।
রিজভী বলেন: ‘কয়েক দিন আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, গাজীপুরে খুলনার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। তার মানে খুলনায় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট সন্ত্রাসের যে অভিযোগ করা হয়েছে তার বক্তব্যে সেটিই প্রমাণিত হলো। এবং এই ভোট কারচুপি ও অনিয়ম কমিশন ঠেকাতে পারেনি।’
তিনি অভিযোগ করেন: ‘এদিকে শুধু খুলনা মার্কা নয়, গাজীপুরে ভোট ডাকাতির সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়তে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আগামীকাল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে যে ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে জনগণ অবাধে পছন্দানুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে এমন কোন পরিবেশ এখনও দৃশ্যমান নয়। জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা আরও গভীরতর হচ্ছে। গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এখন পর্যন্ত যতটুকু খবর আমাদের কাছে এসেছে তাতে গাজীপুরে বাছাই করে করে দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান রিজভী।
রিজভী বলেন: ‘এরপরও আমাদের বিশ্বাস সকল বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে ভোটারেরা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। ভোট যদি কিছুটা সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তাহলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’