অনলাইন ডেস্কঃ-
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য ভালো নির্বাচনের উদাহরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি প্রতিযোগিতামূলক সুষ্ঠু নির্বাচন।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়ায় গতকাল রবিবার রাতে হেয়ার রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন ফরিদপুরের বিভিন্ন স্তরের জনতা। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন মোশাররফ।
গত ১৫ মে খুলনার সঙ্গে গাজীপুরেও ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে সীমানা জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিটের কারণে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যায়। আগামী ২৬ জুন মঙ্গলবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারও শেষ হয়েছে রবিবার মধ্যরাতে। এরপর জনতার রায়ের অপেক্ষা।
এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গাজীপুরে কোনো ধরনের গোলমালের খবর নেই। দুই পক্ষই খুবই উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’
সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে তো সরকারের করার কিছুই নেই। নির্বাচন কমিশন যদি কখনো মনে করে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে এবং নরমাল (পুলিশ, র্যাব, বিজিবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটা সামলাতে পারবে না, তখন কমিশন বললেই সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে।’
এলজিআরডি মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত সেনাবাহিনী দেওয়ার বিধান নেই। তবে জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার বিধান রয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অন ডিমান্ড ছাড়া সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা নেই।’ তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাজে ডিমান্ড করত।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৬৯তম জন্মদিনে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, সেটার জন্য আমি গর্বিত। পরিষদে মোস্ট সিনিয়র নেতারাই জায়গা পান। এই মর্যাদা শুধু আমাকেই গর্বিত করেনি, ফরিদপুরবাসীকেও গর্বিত করেছে।’
আগামী দিনে দায়িত্ব কী হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথমে উনি (প্রধানমন্ত্রী) রূপকল্প ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করলে অনেকেই মুচকি হেসেছেন। সময় জিজ্ঞাসা করলে বলতেন ডিজিটাইল টাইম বলব না বাংলাদেশি টাইম বলব। এখন কিন্তু আমরা পরিপূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড। ওনার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার আগেই আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। জাতি আজ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।’
শুভেচ্ছা জানাতে আসা ফরিদপুরবাসীর উদ্দেশ্যে সদর আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার বাকি সময় দেশের জন্য, বিশেষ করে ফরিদপুরবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। ফরিদপুর ইতিমধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্যে একটা উন্নত জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক এটাই আমার প্রত্যাশা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ ২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, এলজিআরডি মন্ত্রীর মেয়ে সারিতা মিল্লাত, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।