অনলাইন ডেস্কঃ
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পর্যবেক্ষণকৃত ১২৯টি কেন্দ্রের শতকরা ৪৬ দশমিক পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ১৫৯টি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ। যদিও তারা সার্বিকভাবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেমন হয়েছে, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার কর্মকর্তারা। যেসব অনিয়মের কথা ইডব্লিউজি তুলে ধরেছে সেগুলো হলো জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে নির্বাচনী প্রচার চালানো এবং ভোটকেন্দ্রের ভেতর অননুমোদিত ব্যক্তিদের অবস্থান।
তাদের পর্যবেক্ষণকৃত কেন্দ্রগুলোতে ভোট প্রদানের হার ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ। ভোটের দিন শুরুতে তাদের পর্যবেক্ষণকৃত কেন্দ্রগুলোর ৯৬ দশমিক ৯ শতাংশ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট এবং ৮১ দশমিক ৪ ভাগ কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে দেখতে পেয়েছেন বলেও দাবি করেন তাঁরা।
সংস্থাটির পরিচালক ড. মো. আবদুল আলিম বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষিত তার মধ্যে, অন্য দিকে যেগুলো আছে, ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১২৯টি কেন্দ্রে গেছি, মানে ৩০ দশমিক ৪ ভাগ। কাজেই অন্যগুলোর চিত্র আমরা বলতে পারব না।’
‘আমাদের যে পর্যবেক্ষিত কেন্দ্র, সেখান থেকে ছয়জন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেটা আমাদের পরিসংখ্যানে আছে,’ যোগ করেন আলিম।