অনলাইন ডেস্কঃ
একটি মামলায় আদালতে হাজিরার তারিখ ছিল হাসান উদ্দিন সরকারের। কাজটি সেরে তিনি চলে গেলেন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। বের হয়ে সাংবাদিকদের বললেন, ‘দাওয়াত পাইলাম, পুলিশের লগে চা খাইলাম।’
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম চার লাখ ১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। হাসান সরকার পেয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৬১১ ভোট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান হাসান সরকার। সেখানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, তিনি চা খেতে এসেছিলেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে যখন হাসান উদ্দিন সরকার বের হন তখন পুলিশের কর্মকর্তারা তাঁকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন। হাসান সরকারের পাশেই ছিলেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
এ সময় পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন সাংবাদিকরা। হাসান সরকার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন। এ সময় তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
হাসান উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিন্তা করলাম, পুলিশের লগে দাওয়াত পাইলাম, আসা হয় না, একটা একটু চা খাই। এই; আর কোনো কিছু না।’
এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাঁকে- কোনো অভিযোগ? হাসান সরকার বলেন, ‘অভিযোগ সকল সময়ই থাকবে; খারাপের বিরুদ্ধে। উনি যেদিন আইজিপি হবেন সেদিনও থাকবে। এসপি থেকে রিটায়ার্ড করলেও থাকবে। তোমরা তো জানো আমি সব সময় খারাপের বিরুদ্ধে আছি।’
এ নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আপনার কোনো কথা আছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান সরকার বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা কী… আপনি যেমন যে টিভির কাজ করেন, ওই টিভির ফুল অথরিটির নির্দেশ ছাড়া চলতে পারবেন না। চাকরিজীবী মানুষেরাও তাই।’
প্রতিষ্ঠার পর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সিটির প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে পরাজিত করেন তিনি। তবে এবার ওই সিটির মেয়র পদটি হাতছাড়া হলো বিএনপির।
তবে এবারের নির্বাচনে এম এ মান্নান ও আজমত উল্লাহ খান অংশ নেননি। দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথম গাজীপুর সিটি নির্বাচন হলো। আর এবারই জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে ‘নৌকা’ জয়ী হলো গাজীপুরে।