স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে এই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতিমান প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে
শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে স্মরণসভা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মিলিত শিল্পী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধাণ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী।
সংগঠনের উদ্যোক্তা সাব্বির আহমেদ সেন্টুর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান
আলোচক ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্¦ এম
এ রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর
প্রশিক্ষক এম এ মান্নান,প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী নাজমা সুলতানা,বন্দর উপজেলা
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট মাহমুদা আক্তার,বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির
ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক,নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড
কাউন্সিলর হান্নান সরকার ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ
ভূইয়া,২০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন নুর,নারায়ণগঞ্জ জেলা
জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির,নাারায়ণগঞ্জ মহানগর
আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর আনোয়ার হোসেন,শহীদ
সোহরাওয়ার্দ্দী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিএম মাসুদ,সাংগঠনিক সম্পাদক লাইক
আহমেদ সিদ্দিকী বাবু,সদস্য মোঃ লিটন দৈনিক আজকের বিপ্লবী বাংলাদেশ
পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আবু সাঈদ মিয়া,সাপ্তাহিক সত্যের পাতা’র
সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন সুমনা ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয়
কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সংগঠনের উদ্যোক্তা কন্ঠশিল্পী মিতু মোর্শেদ ও মিয়া শহীদের সার্বিক
তত্ত্বাবধানে এবং ফজর আলী লুঙ্গি বিজ্ঞাপনের মডেল সামসুল হাসানের
সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য বিকাশ
আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা রইস মুকুল,বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সিনিয়র
সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ খান,যুগ্ম সম্পাদক শাকির আহমেদ বাপ্পী,বাংলাদেশ
টেলিভিশন ও বেতারের তালিকাভুক্ত কন্ঠশিল্পী রাজু আহমেদ,আশরাফ
হোসেন,সুরকার গীতিকার মিলন সরকার,নৃত্য প্রশিক্ষক রোকসানা
সামিয়া,প্রখ্যাত গীটারিষ্ট মোঃ সোহাগ,মোরশেদ আলম,শেখ তাফসির,কন্ঠশিল্পী
মোঃ উজ্জল,জয় হাসান,মনি শাহ,পিকে পারভেজ,মাইনুদ্দিন মানিক,জাতীয় পার্টির
নেতা কাজী শাহিন,দৈনিক পথের সময় পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মোঃ শরীফুল
ইসলাম শাকিল,দৈনিক বিজয় পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন,মোঃ সবুর
খান প্রমুখ। এতে দোয়া পরিচালনা করেন মোঃ আবু সাঈদ মিয়া ও পবিত্র কোরআন
থেকে তেলোয়াত করেন ডাঃ জোবায়ের আল মামুন।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, একসঙ্গে এতো গুণী শিল্পীদের স্মরণসভা বাংলাদেশে
এটাই প্রথম। বিগত ৫০ বছরেও এইরকম উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখা যায়নি। আয়োজকরা
নিঃসন্দেহে ভূয়সী প্রশংসার দাবীদার। তারা উপজেলার কৃতি সন্তান ওস্তাদ
সামছুল হক,ওস্তাদ খুরশিদ আনোয়ার,চিত্র নায়ক মফিজুল ইসলাম,ওস্তাদ মাহমুদ
হোসেন,ওস্তাদ সামাদ খান,ওস্তাদ জালাল উদ্দিন, ওস্তাদ রাজা মিয়া,চিত্র
পরিচালক শহীদ আলীসহ অন্যান্য গুণী শিল্পীদের কীর্তি তুলে ধরেন। বক্তারা
বলেন, সাংস্কৃতিক গুণীজনদের যথাযথ সম্মান না দেয়ায় এবং সংস্কৃতি চর্”া
থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারনে আমাদের সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে। তাই সুন্দর সমাজ
গঠনের লক্ষ্যে আমাদের সংস্কৃতির গুণীজনদের মূল্যায়ন করা সহ তরুণ ও
যুবসমাজকে সংস্কৃতি চর্চ্চায় এগিয়ে আসতে হবে।
স্মরণসভায় অতিথিরা ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কন্ঠশিল্পী,
বাদ্যশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী ও নাট্যশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভা শেষে
প্রয়াত গুণী শিল্পীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।