বিশেষ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালতাধীন নারী ও শিশু র্নিযাতন দমন
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মানব পাচার একটি মামলায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
নালিশী দরখাস্তান্তে জানা যায়, ২০১৩ সালে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানাধীন
১১নং গজনাইপুর ইউপিস্থ শতক গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে শিফা বেগমের সাথে
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার ৫নং জায়ফরনগর ইউপিস্থ কালিনগর গ্রামের
ইয়ছিন আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসী কামাল মিয়ার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক
তৈরী হয়। পরে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রলোভন দেখিয়ে শিফাকে বিদেশে প্রাচার করা
হয়েছে। এ ব্যাপারে শিফার মা রেবা বেগম বাদী হয়ে গত ২২ নভেম্বর ২০১৭ইং
হবিগঞ্জ আদালতে ৭ জনকে আসামী করে মানব পাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনের ২০১২
এর (২),৭,৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জুড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ কর্তৃক তদন্ত শেষে গত ৬ জানুয়ারী
দাখিলকৃত রিপোর্টে লিখেছেন- “স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীকে
জিঞ্জাসাবাদ করিলে, বিবাদীদের নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়। স্থানীয়
জিঞ্জাসাবাদে তাহার স্বভাব চরিত্র ভাল বলিয়া জানা যায়। আমি সঙ্গীয়
ফোর্সসহ থানায় পৌছিয়া থানার যাবতীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করিয়া
বিবাদীদের নামে বিরুপ কোন তথ্য পাওয়া গেল না।”
মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে এলাকার লোকজনকে জিঞ্জাসাবাদ করলে কোন সত্যতা
পাওয়া যায়নি। ১১নং গজনাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান এমদাদুর রহমান মুকুল মোবাইল
ফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের বলেন, মানব পাচার অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
আসামী পক্ষের লোকেরা আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। আমি বাদী পক্ষের সাথে
কথা বললে, তারা বলেন মেয়ের সাথে আলাপ করে আমাকে জানাবেন। কিন্তু এখন
পর্যন্ত আর যোগাযোগ করেননি।