টি.আই সানি,গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এবং ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা, পাগলা থানা
সীমারেখা দিয়ে ভালুকাগামী খিরুনদীটি বহমান। উক্ত নদী দিয়ে সাধারণ
জনগণ নৌকা দিয়ে, গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের কাওরাইদ, সোনাব
ত্রিমহনী,ধামইল,হয়দেবপুর, ঝালোচাপা,জাহাঙ্গীরপুর, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকার
পনাশাইল,বোর্ড বাজার,কাঠালী,আসকার,পাইলাবর,পারুলদিয়া,ঘাট, গয়েশপুর
মাদ্রাসা ঘাট, উরাহাটি, সহ পাগলা থানার গয়েশপুর,পাইথল,বড়াই,নিগুয়ারী-
সহ প্রায় শতাধিক গ্রামের জনগণ চলাচল করে, নাইদিয়া সাংগুন হইতে
শ্রীপুর উপজেলার হয়দেবপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ সহ বিভিন্ন অঞ্চল,
এলাকায় যানবাহন ও সাধারণ জনগণ চলাচলের জন্য ৫টি ব্রীজ এবং দুইটি রেল
ব্রীজ ব্যবহিত হচ্ছে, শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন অন্তগত সোনাব ও
গোলাঘাট ত্রিমহনীতে ২টি রাবার ড্রাম ব্রীজ রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে
পানি উঠলে পানি সংরক্ষণের জন্য রাবার ড্রাম সম্প্রসারণ করে পানি রাখা
হইতো যার ফলে শুকনো মৌসুমে সংরক্ষিত পানি দিয়ে উপরক্ত গ্রামের কৃষক
কৃষি জমিতে সেচ প্রদান করিত। কিন্তু দুভার্গ্য বশতঃ এই যে কতিপয়
অসাধু বালু ব্যবসায়ী উক্ত সরু নদীতে বড়,বড় বালু বহনকারী কোর্গো
চলাচলের ফলে ঢেউ সৃষ্টি হয়ে নদীর দুপাশের পাড় ভেঙ্গে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে
ব্রীজের পিলায়ারের মাঝখান দিয়ে বড়,বড় বালু বহনকারী কার্গো চলাচলের সময়
ব্রীজের পিলায়ারের সাথে ধাক্কা লেগে ব্রীজের পিলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্রীজগুলি
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী ভালুকা,গঁফরগাাঁও,বরমী
থেকে জনৈক ব্যক্তি কিছু শ্রমিক লাগিয়ে এখানে গর্ত খননের করে বালু
উত্তলনের কাজ শুরু করেন। তবে জায়গাটিতে অধিক বালু মাটি থাকায় সেখানে
গর্ত করার সাথে সাথে তা ধসে পরতে পারে। ব্রিজ সংলগ্ন কয়েকজন
দোকানদার জানান, এখানকার বালু মাটিতে সামান্য গর্ত করার ফলে তা ধসে
পড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে গর্ত সৃষ্টি ও মাটি ধসে পড়ার ফলে
ব্রিজটি চরম হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। সিএনজিচালক মাহাবুুর ও মতিন
জানান, এই সকল ব্রিজটি অল্প লোড বহন করার ব্রিজ। ভারী যানবাহন এর ওপর দিয়ে
চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে ব্রিজের উত্তর পাশে ব্রিজের মাঝখানে ভারী
যানবাহন চলাচল রোধ করার জন্য একটি ছোট আকারের পিলার তৈরি করা ছিল।
সম্প্রতি কিছু বড় বড় যানবাহনের চালকরা ব্রিজটি ব্যবহারের জন্য ওই
পিলারটি কৌশলে ভেঙে ফেলেছে। ফলে এখন এই ব্রিজ দিয়ে দশ টন পনের টন
ওজনের ট্রাক পারাপার হচ্ছে। অথচ এসব বড় যানবাহন চলাচলের জন্য মাত্র আধা
কিলোমিটার দূরে একটি বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও সময় বাঁচাতে
চালকরা ওই রাস্তা কমই ব্যবহার করেন। তাদের মতে এই ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন
চলাচল করলে কাওরাই বাজারে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ
হয়ে পড়ে।
পথচারি এক কলেজ শিক্ষক জানান, ব্রিজটি এমনিতেই ঝুকিপূর্ণ তার ওপর ভারী
যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় আরো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন ব্রিজটি
ভেঙে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ত্রিমহনী বাজারের ব্যবসায়ী ফিরুজ খাঁন
জানান, উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় যেভাবে নদী দখল করে বালু ভরা ট্রলার
দিয়ে আরসিসি পিলার ভেঙে ফেলছে তাতে তিনি হতবাক হয়েছেন। তিনি ও
অন্যান্য ব্যবসায়ীসহ বাজারের স্থানীয় লোকজন নদী দখল বন্ধে ও ব্রিজ রক্ষার্থে
সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্থকেপ কামনা করেছেন।
অবৈধ বালু বব্যবসায়ীরা প্রভাব খাটিয়ে রাবার ড্রামটি সংকোচন করে দেয়,
যার ফলে কৃষি সেচের সংরক্ষরিত পানি রড় নদীতে নেমে যায়। শুকনা মৌসুমে
পানি সেচে অভাবে প্রায় লক্ষাধিক পরিবারের কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়,
ফলে কৃষিজিবী লোকজন অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন
করেন। এই রকম ভাবে বালু সরবাহ করিলে উক্ত নদী গুলো বিলীন হয়ে যাবে এবং ব্রীজ
গুলো ধংস হয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ
হাসিনা সরকারে উন্নয়ন রক্ষা করার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের সদর দৃষ্টি কামনা
করে বালু বহনকারী কার্গো যাতায়াত বন্ধ করে, নদীর নাব্যতা রক্ষা করার জন্য
যাথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুমর্জি হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসির জোর দাবি জানালেন।