অনলাইন ডেস্কঃ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের আপিল শুনানি আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছেন মহামান্য আদালত।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ সকালে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়। পরে আদালতে রাষ্ট্র, দুদক ও খালেদার পক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন। তবে আদালতে খালেদা জিয়া আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আমাগী ৮ জুলাই দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৭ জুন ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
গত ১২ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া তার সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে আপিল দায়ের করেছিল তা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে, খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করা হয়।