অনলাইন ডেস্কঃ
পাবনার বেড়া উপজেলায় মা, ছোটভাই ও খালাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তুহিন (২১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনাপদ্মা তারাবটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বুলি বেগম (৪০) একই এলাকার মিঠু শেখের স্ত্রী, ছোটভাই তুষার (১০) ও খালা মরিয়ম খাতুন (৫০)। মরিয়ম একই গ্রামের আবু বকরের স্ত্রী। ।
বেড়া মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হেসেন জানান, তুহিনের মা, ছোট ভাই এবং খালা একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। তুহিন ও তার স্ত্রী পাশের ঘরে ছিলেন। তুহিনের বাবা খুলনায় শ্রমিকের কাজ করেন এবং ঘটনার রাতে তিনি খুলনাতেই ছিলেন।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে তুহিন একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার মায়ের ঘরে ঢুকে এবং মা, খালা ও ছোট ভাইকে ঘুম থেকে টেনে তুলে বারান্দায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তুহিনের স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও তাড়িয়ে দেন। হত্যার পর পরই ঘাতক তুহিন পালিয়ে যান।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তুহিন দুই মাস ধরে টাইফয়েড জ্বরে ভুগছিলেন। এ ছাড়া পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, তুহিনকে গ্রেফতার করা গেলে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, তুহিন ছিল মাদকাশক্ত। মায়ের কাছে নেশার টাকা চেয়ে না পেয়ে প্রথমে তিনি মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন এবং খালা ও ছোটভাই এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় তুহিনের স্ত্রী রুনা বেগম দৌড়ে পার্শ্ববর্তী আলম শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং হত্যার কথা জানান। আলম শেখের বাড়ির লোকজনসহ অন্য প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গেলে ঘাতক তুহিন পালিয়ে যান।