হাসান মাহমুদ,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় মাদক সেবনের অপরাধে শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৬ চাকুরীজীবীকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার দুপুরে ওই ছয় চাকরিজীবীকে মাদক সেবনের অভিযোগে ৭ দিনের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ইউএনও নূর-কুতুবুল আলম। এর আগে রবিবার রাতে উপজেলার জোসনার বাজার এলাকা থেকে তাদেও আটক করে পুলিশ।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার ক্যাশ ইনচার্জ হাবিবুর রহমান (৩৬), একই শাখায় কর্মরত কম্পিউটার ইনচার্জ রায়হানুল কবির (৩৫), সেখানকার চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী (পিয়ন) শাহরিয়ার হোসেন (২৫), গঙ্গাচড়া কোলকন্দ মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক আব্দুল হাকিম (৩৫), একই উপজেলার বাকপুর মাসুম আলী প্রমানিক উ”চ বিদ্যালয়ের ধমীয় শিক্ষক অবিনেশ চন্দ্র রায় (৩৮) ও সেখানকার কম্পিউটার শিক্ষক মতি চন্দ্র রায় (৪০)। তারা সবাই রংপুর জেলা সদর ও গঙ্গাচড়া এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত কয়েক দিন ধরে অজ্ঞানপার্টির আতংক বিরাজ করছিল উপজেলার জোসনার বাজার এলাকায়। রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জোসনার বাজার এলাকায় সন্দেহভাজন কয়েকটি মোটরসাইকেল দেখে ধাওয়া করে স্থানীয়রা। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও দুটি মোটরসাইকেলসহ ৬ জনকে আটক করে জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলে আটকৃতদের থানায় আনতে বাধা দেয় লোকজন। একপযার্য়ে থানা থেকে আরও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই ৬ চাকরিজীবীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে উত্তেজিত জনতা চড়াও হয়। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতার ইট-পাটকেলের ঢিলে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। তিনি আরও বলেন, আটককৃত ৬ জনের মধ্যে তিনজন সরকারি ও অপর তিনজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তারা মাদক সেবনের জন্য এই এলাকায় এসেছিল। আর তাই তাদেরকে মাদক সেবনের অপরাধে সোমবার দুপুরে হাতীবান্ধার দায়িত্বে থাকা পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নূর-কুতুবুল আলমের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। আদালত প্রত্যেককে ৭ দিনের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে।