নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়
অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাষকের
বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হিজলবাড়ী শেখ রাসেল
মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ে প্রভাষক হিসাবে, চিতলমারী থানার
গরিবপুর গ্রামের ভানুদেব গাইন বিগত ২৩/০৪/২০০৩ইং তারিখ
আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ বাছাই কমিটির সুপারিশ এবং
২০/১২/২০০৩ইং তারিখে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
২২/১২/২০০৩ইং তারিখে উক্ত মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিধি
মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৮০ দিন (৬মাস) এর মধ্যে চাকুরিতে
যোগদানের বিধান থাকলেও ওই প্রভাষকের নিয়োগ হয় নির্ধারিত সময়ের
২৭/২৮ দিন পরে। পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও
কি করে ওই প্রভাষক নিয়োগ পেলেন সেই প্রশ্ন এখন উক্ত মহাবিদ্যালয়ের
অধ্যক্ষ ও সকল প্রভাষকসহ জনমনে।
নিয়মানুযায়ী নিয়োগকালীন রেজুলেশন শিটের ১কপি উক্ত প্রতিষ্ঠানে
থাকার কথা থাকলেও তাহা পাওয়া যায়নি। শেখ রাসেল মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ
রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ, প্রভাষক সুকান্ত বিশ্বাস, সুব্রত হাজরা, মোঃ কুদ্দুসুর
রহমান আশুতোষ মন্ডল সহ একাধিক প্রভাষকবৃন্দ সাংবাদিকদের জানান,
তৎকালীন গর্ভনিংবডির সভাপতি কালাচাঁদ বল ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিউটন
বিশ্বাস মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কোন রকম নিয়মনীতির
তোয়াক্কা না করেই প্রভাষক ভানুদেব গাইনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ সময় তারা আরো বলেন এই মহাবিদ্যালয় ৩৮ জন শিক্ষক ও ৪/৫শত ছাত্র-
ছাত্রী রয়েছে। বর্তমান ওই অভিযুক্ত প্রভাষক ভানুদেব গাইন উক্ত কলেজের
কোন নিয়ম কানুন মানতে চাননা। অথচ তিনি এই ১৪ বছর চাকুরি করে
অবৈধ ভাবে সরকারি কোষাগারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে
জানান অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ। তিনি আরো জানান কলেজের সুষ্ঠ
পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে প্রভাষক ভানুদেব গাইনের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৯৪৭৭৩২২৪৬ নম্বরে
বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবালই ফোনটি রিসিভ
করেনি। উক্ত মহাবিদ্যালয়ের একাধিক প্রভাষক উক্ত নিয়োগকে অবৈধ বলে
অভিযোগ করেন।