অনলাইন ডেস্ক ঃ
তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের তথ্য সুরক্ষাবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনফরমেশন কমিশনার্স অফিস (আইসিও) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানা করার পরিকল্পনা করেছে।
আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ ধরনের জরিমানার ক্ষেত্রে আর্থিক বিচারে এটাই সর্বোচ্চ।
আইসিওর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, লন্ডনভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার (সিএ) পক্ষ থেকে অনৈতিকভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংগ্রহ করা তথ্য পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুসারে পুরোপুরি মুছে ফেলার কথা থাকলেও ফেসবুক তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সেই সূত্রেই আইসিওর পক্ষ থেকে এ জরিমানা করা হতে পারে।
জানা গেছে, শুধু ফেসবুক নয়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার অধুনালুপ্ত মূল প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিজিক কমিউনিকেশন ল্যাবরেটরিজ ইলেকশনের বিরুদ্ধেও (এসসিএল) অপরাধ করার দায়ে পদক্ষেপ নেবে আইসিও।
আইসিও ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক জানিয়েছে, দ্রুতই এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলির ফাঁস করা তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করেছে। প্রায় আট কোটি ৭০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য তারা অন্য পক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। এসব তথ্য ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার জন্য যে গণভোট হয়েছিল, তা প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে।
আইসিওর দাবি, এর মধ্য দিয়ে ফেসবুক নিজেই নিজের আইন ভঙ্গ করেছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা যে ফেসবুক ব্যাবহারকারীদের সংগ্রহ করা তথ্য মুছে ফেলেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
যদিও, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা জানিয়েছিল, ফেসবুকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরেই তারা সংগ্রহ করা সব তথ্য মুছে ফেলেছে। কিন্তু আসলে তা নয় বলে দাবি করেছে আইসিও। বরং প্রমাণ আছে যে, সংগৃহীত তথ্য আরো অনেকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইসিওর মুখপাত্র জানান, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার পক্ষ থেকে ফেসবুককে দেওয়া তথ্য মুছে ফেলার সনদ সে ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এ পরিস্থিতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আজ ব্রিটিশ আইনের আওতায় ফেসবুককে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানান ওআইসির মুখপাত্র। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ও এর পরিচালকদের অপরাধের দায়ে সম্ভবত বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান তিনি।