ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-অমাবশ্যার জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে ঝালকাঠির ৪ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমির আমন বীজতলা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষীরা। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজালাল জানান, ঝালকাঠি জেলায় এ বছর আমন চাষাবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর, নলছিটি উপজেলায় ১৪০০ হেক্টর, রাজাপুর উপজেলায় ৯৫৫ হেক্টর, কাঠালিয়া উপজেলায় ৯৭২ হেক্টর জমিতে আমনের চাষাবাদ করা হয়েছে। সুগন্ধা, বিষখালী ও গাবখান নদীতে অমাবশ্যার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি নামার পড়ে ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমির বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নাগপাড়া এলাকার কৃষক সরোয়ার হোসেন বলেন, ৭/৮ একর জমিতে আমন চাষ করেছি। কয়েকদিনের বন্যায় সব বীজ ভেসে গেছে। মাত্র ১/দেড় একর জমির বীজ রয়েছে বাকি সবই নষ্ট হয়েছে। কৃষক আব্দুল আজিজ খান বলেন, আমাদের এতো ক্ষতি হলেও কৃষি বিভাগের কেউ আমাদের দিকে তাকায় না। এ এলাকায় যিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন তিনি এলাকায় আসলে প্রকৃত কৃষকদের এড়িয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান। পশ্চিম দেউরী এলাকার রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, পানি ওঠে আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও দোকানপাট সবই তলিয়ে গেছে। রাতে পানি বৃদ্ধি ও প্রচুর বাতাস দেখে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পানি কমার পরে বীজ তলায় গিয়ে দেখি সব বীজ ভেসে গেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ক্ষতি লিখলে তাতে আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না। যারা নেতা আছে তাদের ভাগ্যের উন্নতি হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝালকাঠির উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।