অনলাইন ডেস্কঃ
যারা ব্যাচেলর একা থাকেন কিংবা প্রবাসে আছেন তাদের জন্য এই দুনিয়ার সব কিছুই গোছানো থাকে না! সব কিছুই নিজকে করে নিতে হয়। ভাত টেবিলে লাগিয়ে কেহ অপেক্ষা করে না, আপনি খেলেন কি খেলেন না তাও কেহ জিজ্ঞেস করার থাকে না! সব চেয়ে আরো বড় ব্যাপার হল, অনেক সময়ে পকেটেও টাকা থাকে না। হুট হাট করে চাইলেও যে, দামী কিছু খেয়ে ক্ষুধার জ্বালা মিটাবেন সেটাও অনেক সময়ে থাকে না। ব্যাচেলর/প্রবাসীরাদের নিজদের টাকা অন্যরা খায় ও পরে কিন্তু নিজের জন্য তেমন থাকে না। এই জীবন হচ্ছে আত্মত্যাগের! শুধু দিয়েই যেতে হয়! কখনো মা বাবা, কখনো স্ত্রী পুত্র পরিজনকে! যাই হোক, কি আর করবেন, তেমন কি আর করার আছে? এই জীবনে চোখের পানির কি আর দাম আছে?
আমি সব সময়েই বলি হতাশ হয়ে লাভ নেই, বরঞ্চ নিজেই রান্না শিখে ফেলুন, অন্তত তিন বেলা কম টাকায় ভাল খাবার খেতে পারবেন, শরীর ভাল থাকবে। মনের খবর কে রাখে? কার এমন ঠেকা আছে এই দুনিয়ায়? এক বিছানায় শুয়েও মনে মনে অন্য কাউকে যেখানে চিন্তা করা যায়! হা হা হা, যাই হোক, শরীর ভাল হলে দুনিয়ার সবাই খুশি এবং আপনিও খুশি থাকবেন। অন্তত আনন্দে দিন কাটবে। উপার্জন দুই টাকা কম কিংবা বেশী তাতে কি আসে যায়!
চলুন আজকে আবারো খুব সাধারন একটা মাছ ভাঁজা দেখিয়ে দেই। এই পদ্ধতিতে আপনি অন্য যে কোন মাছও ভেঁজে নিতে পারেন, যদিও এমন মাছ ভাঁজা কম দেখাই নাই! তবে নলা মাছ ভাঁজা দেখিয়েছি কিনা এই সময়ে মনে করতে পারছি না, এত রেসিপির ভীড়ে আমি এখন নিজেও হারিয়ে যাই!
উপকরনঃ (পরিমান ভেদে উপকরন দিন)
– নলা মাছ, আপনার ইচ্ছা যে কোন মাছ/ সাইজ
– মরিচ গুড়াঃ সামান্য/ চিমটি
– হলুদ গুড়াঃ সামান্য/ চিমটি
– জিরা গুড়াঃ সামান্য/ চিমটি (না থাকলে নাই)
– তেলঃ কয়েক চামচ বেশী নয়, নন স্টিকি পাত্রে ভাঁজুন
– লবনঃ হাফ চা চামচ
(আমাদের ছবিতে পরিমান দেখেও বুঝতে পারবেন)
প্রস্তুত প্রনালীঃ
ছবি ১, মাছ গুলো কেটে পরিস্কার করে একটা পাত্রে উপরের উপকরণ (তেল ছাড়া) গুলো দিন এবং মিশিয়ে কিছু সময়ের জন্য রেখে দিন। ব্যস।
ছবি ২, নন স্টিকি পাত্রে তেল ভাল করে গরম করে নিয়ে মাছ গুলো দিন।
ছবি ৩, আগুনের আঁচ বাড়িয়েই রাখুন, চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না।
ছবি ৪, এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টে দিন, এখানে ধৈর্য থাকতে হবে, যদি মাছের চামড়া লেগে যায়, তবে জোরে উল্টাতে যাবেন না, আগুন কমিয়ে দিয়ে একটু অপেক্ষা করলেই উঠে যাবে। মাছ ভাঁজা আসলে অভিজ্ঞতা, আমি নিজেও আগে প্রায় মাছ ভাঁজতে যেয়ে লাগিয়ে ফেলতাম, এখন আর তা হয় না, এখন মোটামুটি ভাল ভাঁজতে পারি, কাজ করলে কৌশল জানা যায়, তেমনি।
ছবি ৫, কম তেলে ভাজলে কড়াইয়ের হাতল ধরে এদিক ওদিক করে একটু ভাল করে মাছের নানা দিক ভেঁজে নিতে হয়।
ছবি ৬, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। গরম ভাতের সাথে গরম গরম নিয়ে বসুন। এই মাছেই এক বেলা চালিয়ে দেয়া যাবে।
ব্যাচেলর ভাই বোনদের আবারো বলছি, কারো আশায় না থেকে এই ধরনের ছোটখাট রান্না নিজে করে ফেলুন, দেখবেন ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ না বললেও আপনাকে বলতে হবে, ‘খাবার দাবার ইজ বিউটিফুল’! হা হা হা, আসুন লাইনে আসুন, লাইনেই থাকুন!